ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
Published : 17 Jan 2024, 08:00 PM
আসন্ন রোজায় আট ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম পর্যায়ে নগদ মার্জিন রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মত ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ এ মার্জিনের হার নির্ধারণ করতে হবে।
ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানির ঋণপত্র খোলায় অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে রোজার মাস শুরু হতে পারে। এই সময়ে ইফতারের জন্য বিভিন্ন পদের খাবার তৈরিতে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।
রোজার মাসের চাহিদা পূরণে এর আগে গত ১১ জানুয়ারি আরেক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক এই আট পণ্য বাকিতে আনারও সুযোগ দেয়।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে থাকায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডলার সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি করছে।
বিলাসদ্রব্যসহ তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণে নগদ মার্জিন বাড়িয়ে শতভাগ করা হয় তখন।
পাশাপাশি আবশ্যকীয় ও বিলাসী পণ্য ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খুলতে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশ জারি হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ১০০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিনে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলার বিপরীতে প্রয়োজনীয় মার্জিন গ্রাহকের নিজস্ব উৎস থেকে গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ এসব পণ্য আমদানিতে ব্যাংক কোনোভাবে অর্থায়ন করতে পারবে না।
তবে শিশুখাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিকে এর বাইরে রাখা হয়।
পুরনো খবর-