“বাজারে তেলের দাম একই সাথে কমেছে এবং বেড়েছে। আশা করছি সয়াবিন তেলের দামও কমে আসবে।”
Published : 03 Mar 2025, 04:48 PM
লম্বা সময় ধরে চলতে থাকা সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট আগামী দুই দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার দুপুরে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি দেখতে উপদেষ্টা বাজার পরিদর্শন করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দেশে ভোজ্য তেলের সংকটের শুরু গত ডিসেম্বরে। সে সময় বাজারে সরবরাহ সংকটে দেখা দিলে সরকার এক দফা তেলের দাম বাড়ায়। তারপরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও হতে শুরু করে। খোলা সয়াবিন তেলও ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। রোজা শুরু হলেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আশা করছি আজ থেকেই সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ নিয়ে আরেক প্রশ্নে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “সয়াবিন তেল বেশি দামে যেমন বিক্রি হচ্ছে, তেমনি পামঅয়েল তেল সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ২৫ টাকা ‘কম দামে’ বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মোট ভোগ্য তেলের ষাট শতাংশ পামঅয়েল। বাজারে তেলের দাম একই সাথে কমেছে এবং বেড়েছে। আশা করছি সয়াবিন তেলের দামও কমে আসবে।”
বাজার পরিদর্শনে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ছিলেন।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজাল রোধে পবিত্র রমজান মাসে বিএসটিআই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আজ চারটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
এসময় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান ও বিএসটিআইয়ের এস এম ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।