গত ১০ অগাস্ট রাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
Published : 20 Aug 2024, 07:59 PM
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও তার ছেলে জুহায়ের সারার ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, শেয়ারবাজার কারসাজিতে আলোচিত মো. আবুল খায়ের, জাভেদ এ মতিন, সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি সিডব্লিউটির মনিজা চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।
ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ তালিকায় থাকা অন্য দুজন হলেন মো. দেলোয়ার হোসাইন ও শরিফুল ইসলাম। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ মঙ্গলবার ব্যাংকগুলো এ নির্দেশ দিয়েছে।
সরকার পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় গত ১০ অগাস্ট রাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
২০২০ সালের ১৭ মে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত এপ্রিল মাসে ফের চার বছরের জন্য তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
তার সময়ে ‘ফ্লোর প্রাইস’ তোলা, তালিকাভুক্ত বন্ধ কারখানা চালুর উদ্যোগ, লোকসানি কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার মত বিভিন্ন উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের প্রশংসা পেলেও বিপুল খরচ করে বিদেশে রোড শো আয়োজন, বাজারে কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতা, বড় অঙ্কের কারসাজির বিপরীতে নামমাত্র জরিমানার মত ঘটনায় সমালোচিত হয়েছেন।
মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্যাংক হিসাব থেকে শিবলী অর্থ পেয়েছেন বলেও ২০২৩ সালে অভিযোগ ওঠে। সে সময় সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, শিবলীও সে বিষয়ে কখনো মুখ খোলেননি।