মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্যাংক হিসাব থেকে এসইসি চেয়ারম্যান শিবলীর অর্থ পেয়েছেন বলে ২০২৩ সালে অভিযোগ ওঠে, কিন্তু সে বিষয়ে কোনো তদন্ত সরকার করেনি।
Published : 11 Aug 2024, 03:07 PM
সরকার পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় পদ ছাড়লেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
অর্থ মন্ত্রণলয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আব্দুর রহমান খান রোববার শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শনিবার রাতে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্যার তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেটা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’’
অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া সালেহউদ্দিন আহমেদ শনিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সচিব ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাষিত সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শিবলী। দিনের বেলা বৈঠক করে রাত ১১টার পরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি।
সরকার পতনের পরের দিন মঙ্গলবার থেকে অফিস খুললেও তিনি কার্যালয়ে আসছিলেন না। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যান হওয়ার পরও তার দপ্তরে না আসার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত গাড়িটি রোববার সকালেও পার্কিং এলাকায় দেখা যায়।
২০২০ সালের ১৭ মে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গত এপ্রিল মাসে ফের চার বছরের জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ে শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত অধ্যাপক শিবলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ছিলেন
তার সময়ে ‘ফ্লোর প্রাইস’ তোলা, তালিকাভুক্ত বন্ধ কারখানা চালুর উদ্যোগ, লোকসানি কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার মত বিভিন্ন উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের প্রশংসা পেলেও বিপুল খরচ করে বিদেশে রোড শো আয়োজন, বাজারে কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতা, বড় অঙ্কের কারসাজির বিপরীতে নামমাত্র জরিমানার মত ঘটনায় তিনি সমালোচিত হয়েছেন।
মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্যাংক হিসাব থেকে এসইসি চেয়ারম্যান শিবলীর অর্থ পেয়েছেন বলেও ২০২৩ সালে অভিযোগ ওঠে। সে সময় সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, শিবলীও সে বিষয়ে কখনো মুখ খোলেননি।