“নিজেদের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একসাথে কাজ করতে পারলে সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব,” বলেন তিনি।
Published : 19 Mar 2025, 08:40 PM
ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো দেশকে বাংলাদেশের বন্ধু নয়, সবাইকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখার আহ্বান করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, ‘‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক বড়।’’
বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘‘এটা মেনে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চ্যালেঞ্জের তুলনায় সামনে সুযোগ অনেক বড়। একসাথে কাজ করতে পারলে সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব।’’
সেমিনারের পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই বলেছে, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সম্মিলিত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
রপ্তানিতে বৈচিত্র্য এবং এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ বিষয়ক এ সেমিনারে তিনি বলেন, ‘‘এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনসহ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো দেশ আমাদের বন্ধু নয়, সবাই প্রতিযোগী।
“এটা মেনে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একসাথে কাজ করতে পারলে সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব।”
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হল পণ্য বৈচিত্র্যকরণ। এক্ষেত্রে কোন কোন পণ্য ও খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন তা খুঁজে বের করে অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এলডিসি পরবর্তী নীতিকাঠামোয় কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির পরিচালক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।