ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: একে একে চলে গেল ৫ জন, লিজাকে নিয়েও শঙ্কা

বর্তমানে বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন সুজনের বড় বোন লিজার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বাবা লিটনের কোলে সুজনের ছবি এখন স্মৃতি। দুইজনই এখন না ফেরার দেশে। লিটনের মৃত্যু হয় ১৬ এপ্রিল।

ঈদের পরদিন রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৬ জনের মধ্যে পঞ্চমজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার বেলা ২টায় ওই পরিবারের নয় বছর বয়সী সদস্য সুজনের (৯) মৃত্যু হয় বলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

“সুজনের শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল,” বলেন এই চিকিৎসক।

অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় দগ্ধ সুজনের বাবা লিটন, মা সূর্য বানু, বোন লামিয়া ও নানি মেহেরুনন্নেছার মৃত্যু হয়েছে এর আগে।

পরিবারটির সবশেষ সদস্য সুজনের আরেক বোন লিজার চিকিৎসাধীন চলছে বার্ন ইন্সটিটিউটে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থাও আশংকাজনক।

গত ১২ এপ্রিল ভোরে ভাসানটেকের শ্যামল পল্লীর একটি দুই তলা বাড়ির নিচতলার বাসায় মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে আগুন লাগে।

গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ হয়ে ঘরে গ্যাস জমে যাওয়ায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে বলে সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল।

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: শিশু লামিয়াও বাঁচলো না

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: শাশুড়ি ও স্ত্রীর পর লিটনও চলে গেলেন

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: মায়ের পর মেয়েরও মৃত্যু

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: দগ্ধ একজনের মৃত্যু