৬৫ বছর বয়সী মেহেরুনেন্নসার শরীরের ৪৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
Published : 13 Apr 2024, 12:24 PM
রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাসের দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টায় মেহেরুন্নেছা (৬৫) নামের এক নারী মারা যান বলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ভাসানটেকের শ্যামল পল্লীতে শুক্রবার ভোরের দিকে দোতলা বাসার নীচতলায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থাকার কারণে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে গেলে তারা দগ্ধ হন।
ভাসানটেক থানার এসআই নাঈমুল ইসলাম হৃদয় জানিয়েছিলেন, তাদের গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে থাকলেও ঘরে চুলার সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত ছিল।
“বাসার দরজাটি লোহার। গ্যাসের পাইপটি লোহার দরজার ফোকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় গ্যাস ঘরে জমা হয়। ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সবাই দগ্ধ হয়।”
ঘটনার পর ছয়জনকে বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছিলেন, দগ্ধ সবার অবস্থা আশংকাজনক।
দগ্ধ অন্যরা হলেন- মোহাম্মদ লিটন (৫২), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), সুজন (৯) এবং লামিয়া (৭)।
এদের মধ্যে সবচেয়ে কম দগ্ধ হয়েছেন লিজা; তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়েছে।
এছাড়া শিশু লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, শিশু সুজনের শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়েছে।