দগ্ধ ছয়জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
Published : 12 Apr 2024, 10:36 AM
রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাসের আগুনে এক পরিবারের শিশু-নারীসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছে।
ভাসানটেকের শ্যামল পল্লীতে শুক্রবার ভোরের ওই ঘটনার পর দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- মেহেরুন্নেসা (৬৫), মোহাম্মদ লিটন (৫২), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), সুজন (৯) এবং লামিয়া (৭)।
তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
ভাসানটেক থানার এসআই নাঈমুল ইসলাম হৃদয় জানান, ভোর চারটার দিকে শ্যামল পল্লীর একটি দোতালা বাড়ির নিচতলার বাসায় আগুনের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, তাদের গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে থাকলেও ঘরে চুলার সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত ছিল।
“বাসার দরজাটি লোহার। গ্যাসের পাইপটি লোহার দরজারে ফোকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় গ্যাস ঘরে জমা হয়।”
“ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সবাই দগ্ধ হয়,” বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন চিকিৎসাধীন ছয়জনের অবস্থা সম্পর্কে সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি নিয়মিত তাদের খোঁজ নিচ্ছি। একজনের ৩০ শতাংশ পুড়েছে। বাকীদের এরচেয়ে বেশি। তাদের সবারই শরীর যেভাবে পুড়ে গেছে তা আশঙ্কাজনক।”
বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে কম দগ্ধ হয়েছেন লিজা; তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এছাড়া শিশু লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, শিশু সুজনের শরীরের ৪৩ শতাংশ এবং মেহেরুন্নেসার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গেছে।