এ নিয়ে ঈদের পরদিন গত শুক্রবার ভোরের এ আগুনে দুইজনের মৃত্যু হল।
Published : 15 Apr 2024, 10:22 PM
রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাস থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে; মায়ের পর এবার চলে গেলেন মেয়ে।
এ নিয়ে ঈদের পরদিন গত শুক্রবার ভোরের এ আগুনে দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হল।
সোমবার মারা যাওয়া সূর্য বানুর (৪৭) শরীরের ৮২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে তিনি মারা গেছেন। এ পরিবারের চিকিৎসাধীন আরও চার সদস্য আশঙ্কামুক্ত নন।
এর আগে শনিবার ওই আগুনে দগ্ধ হয়ে সূর্যবানুর মা মেহেরুন্নেছার (৬৫) মৃত্যু হয়।
নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। বর্তমানে ভাসানটেক পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার স্বামীর নাম মো. লিটন। ওই আগুনে সুর্যবানু-লিটন দম্পতি এবং তাদের তিন ছেলে-মেয়ে লিজা (১৮), সুজন (৯) ও লামিয়া (৭) এবং সূর্যবানুর মা মেহেরুন্নেছা (৬৫) দগ্ধ হয়েছিলেন।
ভাসানটেকের শ্যামল পল্লীতে শুক্রবার ভোরের দিকে দোতলা বাসার নিচতলায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থাকার কারণে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে গেলে তারা দগ্ধ হন।
ভাসানটেক থানার এসআই নাঈমুল ইসলাম হৃদয় জানিয়েছিলেন, তাদের গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে থাকলেও ঘরে চুলার সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত ছিল।
“বাসার দরজাটি লোহার। গ্যাসের পাইপটি লোহার দরজার ফোকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় গ্যাস ঘরে জমা হয়। ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সবাই দগ্ধ হয়।”