Published : 03 May 2023, 05:02 PM
রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে গেছে।
বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইয়াসমিন আরা আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ রেখেছেন।
আদালতে এদিন নতুন সাক্ষী হাজির করতে না পারায় সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ, পরে বিচারক তা মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেন।
এ মামলায় এর আগে শিমুর বাসার দুই গৃহকর্মীর সাক্ষ্য শুনেছে আদালত। দুই দফায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা আদালতে সাক্ষ্য দেন। এছাড়া আরও দুজন এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম গত ২৯ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে দুই আসামি শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে গত ২৯ নভেম্বর বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। তার সন্ধানে পরদিন কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বামী নোবেল।
সেদিন দুপুরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তা থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ওই লাশ শিমুর বলে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।
মামলা হওয়ার পর ওই রাতেই নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে আটক করে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে ২০ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার গত ১৮ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “‘পারিবারিক বিষয়াদি ও দাম্পত্য কলহের’ কারণে শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করেছে শিমুর স্বামী নোবেল ও লাশটি গুম করতে সহায়তা করেছে নোবেলের বন্ধু ফরহাদ।”
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে ১৯৯৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শিমুর। পরের বছরগুলোতে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের প্রায় ২৫ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে দেখা যায় তাকে। শাকিব খান, অমিত হাসানসহ কয়েকজন তারকার সঙ্গেও কাজ করেছেন।
শিমু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় এবং প্রযোজনাও করেছেন।
আরও পড়ুন-
বস্তার সুতার সূত্রে মিলল শিমুর খুনি: পুলিশ
জেল থেকে ফোন করে বাবা মাফ করে দিতে বলেছিল: শিমুর মেয়ের সাক্ষ্য