Published : 15 Feb 2023, 04:20 PM
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় তার বাসার দুই গৃহকর্মীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বুধবার গৃহকর্মী শান্তা বেগম ও আমেনা বেগমের সাক্ষ্য নিয়ে আগামী ২ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সুমন জানান, এ নিয়ে মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া হল।
শিমুর বাসার দুই গৃহকর্মী সাক্ষ্য দিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারিও আদালতে হাজির হয়েছিলেন। সেদিন সাক্ষ্য দিলে আসামিপক্ষে তাদের জেরা করতেন রাষ্ট্রনিযুক্ত দুই আইনজীবী। তাতে আসামিপক্ষ রাজি ছিল না। সে কারণে তারা সেদিন সাক্ষ্য না নেওয়ার প্রার্থনা করলে বিচারক দুই গৃহকর্মীকে যাতায়াত খরচ বাবদ দুই হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আলোচিত এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম গত ২৯ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে দুই আসামি শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে গত ২৯ নভেম্বর বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। তার সন্ধানে পরদিন কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বামী নোবেল।
সেদিন দুপুরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তা থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ওই লাশ শিমুর বলে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।
মামলা হওয়ার পর ওই রাতেই নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে আটক করে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে ২০ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার গত ১৮ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পারিবারিক বিষয়াদি ও দাম্পত্য কলহের’ কারণে শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করেছে শিমুর স্বামী নোবেল ও লাশটি গুম করতে সহায়তা করেছে নোবেলের বন্ধু ফরহাদ।”
আরও খবর
শিমুকে ‘শ্বাসরোধে’ হত্যার পর লাশ ভরা হয়েছিল বস্তায়
অভিনেত্রী শিমু হত্যা: স্বামীসহ দুজনের বিচার শুরু
অভিনেত্রী শিমু হত্যা: স্বামীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ