২০২০ সালে সাতক্ষীরা সীমান্তে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন তিনি; ওই মামলায় একই বছর তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
Published : 11 Jan 2024, 07:05 PM
রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ ‘প্রমাণ করতে না পারায়’ অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
কোভিড মহামারীকালে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন সাহেদ। পরে অস্ত্র মামলায় ওই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ আদালত।
হাই কোর্টে অস্ত্র মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে সাহেদের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
রায় ঘোষণার পর শাহ মঞ্জুরুল সাংবাদিকদের বলেন, “মামলার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। আদালত আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।”
অস্ত্র মামলা ছাড়াও সম্পদের হিসাব না দেওয়ার আরেক মামলায় ২০২৩ সালের ২১ অগাস্ট সাহেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী শাখরা কোমরপুর এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই সময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ২৩৩০টি ভারতীয় রুপি, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ওইদিনই সকালে তাকে সাতক্ষীরায় নেওয়া পর এবং পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় রাতে সাহেদ ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামি করে এ মামলা করেন।
এটি ছাড়াও গ্রেপ্তারের পর সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিন ডজনের বেশি মামলা হয়।
প্রতারণার ঘটনায় আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের এই চেয়ারম্যানকে জামিন দেয় হাই কোর্ট; পরে ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর যা জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন
অস্ত্র মামলায় সাতক্ষীরার আদালতে সাহেদ করিম
সাহেদের অবৈধ সম্পদের মামলায় রায় হবে ২১ অগাস্ট