অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন তিনি।
Published : 10 Aug 2023, 05:23 PM
অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন মোহাম্মদ সাহেদ; এবার অবৈধ সম্পদের মামলায়ও রায়ের তারিখ পড়েছে।
দুদকের এই মামলায় বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার আদালত আগামী ২১ অগাস্ট রায়ের দিন ঠিক করে দিয়েছে।
ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এই দিন ঠিক করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান এ আদালতের পেশকার আমিনুর রহমান সাগর।
সাহেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এই মামলায় সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়া এবং ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের সাবেক চেয়ারম্যান সাহেদ (সাহেদ করিম) বিরুদ্ধে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ২০২০ সালের ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি হয়েছিল। তিন মাস না যেতেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে সাহেদের মালিকানাধীন হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।
এরপর ওই বছর ৭ ও ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয় র্যাব।
১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।
সেগুলোর তদন্ত চলার মধ্যেই ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিস পাঠায় দুদক; ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে
বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়।
সাহেদ এরপরও তা জমা না দেওয়ায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেই মামলায় ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় সাহেদের বিরুদ্ধে।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ওই বছর ১৭ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে সাহেদের বিচার শুরুর আদেশ হয়। এ মামলার মোট ১০ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিন ডজনের বেশি মামলা হয়। তার মধ্যে অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
দোষ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজা হতে পারে রিজেন্টের সাহেদের