প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার এ মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
Published : 03 Jan 2024, 03:20 PM
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে হাই কোর্ট।
মির্জা ফখরুলের এক আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বেঞ্চ শুনানি পিছিয়ে দেয়।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করে ফখরুলের পক্ষে সময়ের আবেদন করেন ওয়ালিউর রহমান।
এ সময় জ্যেষ্ঠ বিচারক আইনজীবীকে বলেন, “তখন এত আর্জেন্সি দেখালেন, এখন নেই কেন?”
আইনজীবী বলেন, “পারসোনাল ডিফিকাল্টিস।”
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
মামলাটিতে গত ৭ ডিসেম্বর হাই কোর্ট মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল দেয়। মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুল শুনানির দিন ধার্যের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে আবেদন করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছিল। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি বুধবারের কার্যতালিকায় ওঠে; শুনানির জন্য বেলা ১১টায় সময় ধার্য ছিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেদিন মহাসমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ‘বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান’ দেয় এবং মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনের বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করে।
তারা প্রধানবিচারপতির সরকারি বাসভবনের পূর্ব পাশের গেইট ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। নামফলকসহ ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
২৯ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন জামিন নাকচ করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে জজ আদালতে যান ফখরুলের আইনজীবীরা। কিন্তু ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদেরও জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
পুরনো খবর:
হাই কোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি রোববার
হাই কোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার