আগামী ৩ জানুয়ারি শুনানির নতুন তারিখ রেখেছে হাই কোর্ট বেঞ্চ।
Published : 17 Dec 2023, 11:22 AM
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় হাই কোর্টে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি আবারও পিছিয়েছে।
রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির কথা থাকলেও বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বেঞ্চ আগামী ৩ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করে দেয়।
জামিন আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা শুনানিতে ছিলেন।
ফখরুলের জামিন প্রশ্নে গত ৭ ডিসেম্বর এক সপ্তাহের রুল দিয়েছিল এই বেঞ্চ। কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল সরকারের কাছে।
কিন্তু শুনানির জন্য ফাইল তৈরি না থাকায় বৃহস্পতিবার মামলাটি কার্যতালিকায় আনা সম্ভব হয়নি বলে ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতকে জানান। শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারক রোববার বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখতে বলেছিলেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম ও মহানগর দায়রা আদালতে ফখরুলের জামিন আবেদন নাকচ হওয়ায় হাই কোর্টে এসেছেন তার আইনজীবীরা।
জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।
সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।
সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সেদিন রাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফখরুলকে আদালতে তোলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেদিন মহাসমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ‘বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান’ দেয় এবং মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনের বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করে।
তারা প্রধানবিচারপতির সরকারি বাসভবনের পূর্ব পাশের গেইট ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। নামফলকসহ ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
২৯ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন জামিন নাকচ করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে জজ আদালতে যান ফখরুলের আইনজীবীরা। কিন্তু ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদেরও জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
পুরনো খবর
হাই কোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি রোববার
হাই কোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার