পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভবনটির নিচ তলা ধসে পড়ায় এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ায় সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাতে সময় নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার বিকালের এ ঘটনার সাড়ে চার ঘণ্টা পর দুর্ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ভবনের নিচের কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে তারা ঢুকতে পারছেন না।
“একটু স্ট্যাবল হলে নিচের দিকে অভিযান চালানো হবে,” যোগ করেন তিনি।
বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের এ বিস্ফোরণে রাত পর্যন্ত ভেতরে কতজন আটকে থাকতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এটি চালু মার্কেট হওয়ায় বিস্ফোরণের সময় ক্রেতা, বিক্রেতা ও কর্মচারী সেখানে ছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই কতজন বের হতে পেরেছেন আর কতজন ভেতরে আটকা পড়েছেন তা বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছেন। সেগুলো দিয়ে নিচতলা ও আন্ডারগ্রাউন্ডে উদ্ধার অভিযান চালান হবে।
বিস্ফোরণ কীভাবে সে প্রশ্নের জবাবেও আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দোকান মালিক সমিতির লোকজন বলেছেন নিচে কোনো গ্যাসের লাইন নেই। তবে পানির রিজার্ভ ট্যাংক রয়েছে।
ঘটনার পর রাতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ঘটনাস্থলে আসেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, মনে হচ্ছে ভবনটির কোথাও ‘লিকেজ’ ছিল। এ কারণে অনেক গ্যাস জমে থাকতে পারে। তখন হয়ত কেউ ম্যাচের কাঠি জ্বালানোর ফলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ফায়ারের কর্মকর্তারা এখনও চূড়ান্তভাবে কিছু বলেনি।
“এ মুহূর্তে ভেতরে কেউ আটকা থাকতে পারে। পুলিশ থেকে শুরু করে রাজউক কর্মকর্তারা ভবন মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভবনের ভেতর থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভেতরে থাকা মালামাল সরিয়ে নিতে ফায়ারের কর্মীরা কাজ করছেন।”
মঙ্গলবার পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে নর্থ সাউথ রোডে সাত তলা এ ভবনে বিকট বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেওয়ার পর অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকেই।
বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভাঙা টুকরোর আঘাতে আহত হয়েছেন পথচারী ও আশেপাশের মানুষ। এসময় রিকশা, গাড়ির যাত্রী ও চালকরাও ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে ভবনের ভাঙা টুকরোর আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন।