বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎবিহীন পুরান ঢাকার একাংশ, যানজট

পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে বিদ্যুৎ সংযোগ আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে, বলেছেন ডিপিডিসির এমডি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2023, 02:15 PM
Updated : 7 March 2023, 02:15 PM

ভবন বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজার, নয়াবাজার, নর্থ সাউথ রোড় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে; সড়কে যানজটেও স্থানীয়রা ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।

মঙ্গলবার সিদ্দিক বাজারের নর্থ সাউথ রোডে সাত তলা ভবনে বড় ধরনের বিস্ফোরণের পর বিকাল ৫টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেসব এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।

পরিস্থিতি অনুকূল হলে তা আবার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পর ওই এলাকার কিছু গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে বিতরণ লাইনের কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের লোক সেখানে স্ট্যান্ডবাই আছে। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে বিদ্যুৎ সংযোগ আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে নর্থ সাউথ রোডে বিস্ফোরণের পর ওই সড়কসহ আশেপাশের সড়কে স্থানীয়রা ভিড় করলে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এতে উদ্ধার কাজেও বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে।

এর প্রভাব পড়েছে পুরান ঢাকাকে যুক্ত করে এমন সব সড়কে। যানজট গড়িয়েছে গুলিস্তান, মতিঝিলসহ রমনা পর্যন্ত সড়কেও।

Also Read: সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৫

Also Read: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: ভবনের নিচে আটকা অনেকে

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) আসমা সিদ্দিকা মিলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকে এ এলাকার প্রধান সড়কসহ আশাপাশে অলি-গলিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।”

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

ওয়ারি বিভাগের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘‘এ ঘটনার প্রভাব পুরান ঢাকাসহ মতিঝিল, রমনা এলাকায় পড়েছে। ফলে পুরো এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।”

বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছেন শতাধিক। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। ভবনের নিচে অনেকে আটকা পড়েছে।

সাত তলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নিচের দুটো তলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। প্রথম তিনটি তলার ছাদ ধসে আন্ডারগ্রাউন্ডে পড়েছে।

বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্ফোরণের ধাক্কায়।