“কমিশন কাউকে ফেলে দিতে পারে না, কাছে টানতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে," বলেন তিনি।
Published : 21 Dec 2022, 07:34 PM
সব দলকে নির্বাচনে আনতে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিআইসি) আবু হেনা বলেছেন, দলগুলোর ইচ্ছা বা অন্য কোনো কথা বলে ‘দায় এড়ানো ঠিক না’।
১৯৯৬ সালের নির্বাচন পরিচালনা করা এই সিইসি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান দেওয়া ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন থাকার আহ্বানও জানান।
বুধবার বিকালে ঢাকায় ডেইলি স্টার ভবনে এ এস মাহমুদ সেমিনার হলে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের তথ্যাবলি নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) প্রকাশিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন জানিয়ে সাবেক সিইসি আবু হেনা বলেন, সবাইকে নিয়েই সেটি করতে হবে।
"কমিশনকে সব দলের জন্য আলোচনা আহ্বান করতে হবে, নিজেদের কাজের মাধ্যমে স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা দেখাতে পারলেই সব দলের আস্থা অর্জন করা যাবে এবং তাদের নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে। কমিশন কাউকে ফেলে দিতে পারে না, কাছে টানতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে।"
অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের হলফনামার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আরপিওতে কিছু গ্রে এরিয়া আছে। যেগুলো নিয়ে কাজ করা দরকার। হলফনামা যাচাই করা আরেকটি বড় সমস্যা। আমরা কমিশনে থাকতেও এ সমস্যায় পড়েছিলাম। সমস্যা উৎরাতে প্রার্থীর দেওয়া তথ্যগুলো আমরা এনবিআরে পাঠাতাম, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।
“সবচেয়ে বড় যে সমস্যা, সেটি হল তথ্য দেখে তো ভোট হয় না। ভোট কীভাবে হয় আপনারা জানেন। তা আমি রিপিট করতে চাই না।”
প্রার্থীদের হলফনামায় আট ধরনের তথ্য দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টের ২০০৫ সালের রায়ের পর সেটি নিয়ে এক ব্যক্তির আপিলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সৌভাগ্যবশত সুজনের প্রচেষ্টায় এ অপচেষ্টা রোধ এবং প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভবপর হয়।
“শুধু তাই নয়, আনন্দের বিষয় যে ভোটারদের তথ্য প্রপ্তির অধিকারের বিষয়টি এখন গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৭২ এ এবং ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত অন্যান্য সকল স্থানীয় সরকার আইনে/বিধিমালাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।”
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, “প্রার্থীর হলফনামা আমরা কোনোভাবেই যাচাই করতে পারছি না। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা দরকার। জনগণকে ক্ষমতায়িত করা দরকার। দুর্ভাগ্যবশত কোনো নির্বাচন কমিশনকেই আমরা এটি করতে দেখিনি। কিন্তু তথ্যগুলো জনগণের কাছে পৌছানো দরকার।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজনের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ হুদা, সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
আরও পড়ুন: