সিইসি বলেন, সরকারও মনে করে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন।
Published : 20 Dec 2022, 11:06 PM
বিএনপি নির্বাচনে না এলে একটি অপূর্ণতা থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার রাতে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে আসা নিয়ে সিইসি বলেন, “কোনো দলকে আমরা জোর খাটিয়ে আনতে পারব না। আমরা ওনাদের দুবার চিঠি দিয়েছিলাম; আসেননি; সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি। উনারা এখনও আমাদের উপর অনাস্থায় রয়েছেন; সরকারের উপরও অনাস্থায় আছেন।”
বিএনপির যে নির্বাচনে আসা প্রয়োজন, সেটা সরকারের তরফ থেকেও বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সরকারও মনে করে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হলে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন।
“সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের কাছ থেকেও শুনেছি বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসে, সে ব্যাপারে সরকারের মধ্যে সচেতনতাবোধ আছে, সরকারও এ বিষয়ে আন্তরিক। বিএনপি নির্বাচনে না এলে একটি অপূর্ণতা থেকে যাবে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, “নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক। সব দল অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে একটা সংসদ গঠিত হোক। সংসদের মাধ্যমে একটা সরকার গঠিত হোক। তাহলে দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সুসংহত হবে। আমাদের সরকারও আরও উন্নত হবে।”
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে যে শুভংকরের ফাঁকির কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে শতভাগ সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে কোনো সংকট ধরা পড়েনি।
এ সময় তিনি ভারতে গিয়ে পাওয়া ইভিএম সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। তবে ভোট গ্রহণ স্লো হতে পারে, এ জন্য গতি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সিইসি বলেন, “আগামী দ্বাদশ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং চেষ্টা করে যাব। সেখানে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে এসে ভোট প্রয়োগ করতে পারে সেটা নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে চায়।”
এর আগে বরিশাল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ন কবির, আইডিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, ডিআইজি আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা তাদের কথা শুনেছি। আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। বিভাগীয় কমিশনার আমাকে আশ্বস্ত করেছেন তারা দায়িত্বশীলতার সাথে, সংবিধান, আইন মেনে নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন।”