এনবিআর বলছে, “কর-জিডিপি অনুপাত কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে প্রদত্ত অব্যাহতি সুবিধা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।”
Published : 04 Apr 2024, 06:42 PM
মেট্রোরেলের টিকিটে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট আর মওকুফ করতে রাজি নয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। ফলে আসছে ১ জুলাই থেকে বাড়ছে মেট্রোরেলের ভাড়া।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ বৃহস্পতিবার এক আদেশ জারি করে বলেছে, মেট্রোরেলের টিকেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত থাকলেও আধুনিক এ বাহন চালুর সময় তা মওকুফ করা হয়েছিল। এখন ভ্যাটে ওই ছাড় আর দেওয়া হবে না।
ফলে আগামী ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের যাত্রীদের টিকেটের ওপর ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মো. বদরুজ্জামান মুন্সী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত দেশের কাতারে সামিলের লক্ষ্য সামনে রেখে দেশে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উক্ত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পাদনে সরকারকে প্রতিনিয়ত অর্থের যোগান দিতে হচ্ছে, যা মূলত আহরিত হচ্ছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের মাধ্যমে।
“দেশীয় শিল্পের বিকাশ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ইত্যাদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। উন্নয়নের বিপুল কর্মযজ্ঞে অর্থের যোগান অব্যাহত রাখাসহ দেশকে এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন এবং কর-জিডিপি অনুপাত কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে প্রদত্ত অব্যাহতি সুবিধা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। অর্থ্যাৎ কর অব্যাহতির ক্ষেত্র সংকুচিত করা হচ্ছে।”
এই যুক্তি দিয়ে মেট্রোরেল সেবার ওপর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল, মেয়াদ শেষে তা আবারো অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এনবিআর ‘অপরাগতা’ জানিয়েছে।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়। গত বছর থেকে পুরোদমে মতিঝিল পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল।
মেট্রোরেলে যাতায়াত উৎসাহিত করতে শুরু থেকেই যাত্রীদের ভ্যাট অব্যাহতি দিয়ে আসছিল এনবিআর। ডিএমটিসিএল গত মাসে এনবিআরকে এই সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা এই বিষয়টা গণমাধ্যমে দেখেছি, কোনো কাগজ হাতে পাইনি। কাগজ হাতে পেলে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেব।"