শুক্কুর আলী সোহেল ওরফে সোহাগ (৩৮) নামের ওই আসামিকে সোমবার রাতে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Published : 12 Feb 2024, 02:52 PM
বাইশ বছর আগে এক আনসার সদস্যকে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও পুলিশ সদস্যকে হত্যাচেষ্টার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
শুক্কুর আলী সোহেল ওরফে সোহাগ (৩৮) নামের ওই আসামিকে সোমবার রাতে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০০২ সালে ১২ মার্চ রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইকারীর গুলিতে আনসার সদস্য ফজলুল হক এবং পুলিশ কনস্টেবল আবদুল জলিল ফরাজী গুরুতর জখম হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আনসার সদস্য ফজলুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওই ঘটনায় কনস্টেবল আকমান হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় শুক্কুর আলী সোহেলসহ ৩ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে। পরে তিন আসামিই জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপন করেন।
মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত আনসার সদস্য ফজলুল হককে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
একই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল আবদুল জলিল ফরাজীকে হত্যাচেষ্টার দায়ে আসামি শুক্কুর আলী সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার মঈন বলেন, শুক্কুর আলী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ২০০২ সালের ১২ মার্চ দুপুরে শুক্কুর আলী তার দুই সহযোগীকে ছিনতাইয়ের জন্য শ্যামলী এলাকায় ‘দূর দূরান্ত’ নামের একটি বাস কাউন্টারের সামনে একজনের মালামাল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন।
তখন ওই এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল আকমান হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল জলিল ফরাজী ও আনসার সদস্য ফজলুল ছিনতাইকারীদেরকে আটকের চেষ্টা করলে শুক্কুর আলী ও তার সহযোগীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আনসার সদস্য ফজলুল হক আহত হন।
ছিনতাইকারীরা কনস্টেবল আব্দুল জলিল ফরাজীকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ঘটনার সময় আরেক কনস্টেবল আকমান হোসেন গুলি ছুড়লে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে। এর আগে তিনি মাদক সংক্রান্ত মামলায় ৪ বছর, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ৫ বছর ও অপহরণসহ বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন।