দুর্নীতিমুক্ত, সাম্যের বাংলাদেশের প্রত্যয় জাতীয় স্মৃতিসৌধে

 “স্বাধীনের পর দেশ ছাইড়া গেছি। উনি (বঙ্গবন্ধু) তো দুর্নীতির বিপক্ষে ছিলেন, উনার মেয়েও না করে, তাও তো কমে না। নিজে যদি ভালো না হই, তাইলে জীবনেও হইব না, পুলিশ-সরকার কেউ পারব না।”

শাহরিয়ার নোবেলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2023, 11:21 AM
Updated : 26 March 2023, 11:21 AM

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকীতে দুর্নীতিমুক্ত সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা ঝরেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষের কণ্ঠে।

রোববার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে বীর শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠারই প্রত্যয় জানালেন তারা।

প্রতিবছর এই বিশেষ দিনে স্মৃতিসৌধে মেয়েকে নিয়ে আসেন ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী বিপুল চন্দ্র সরকার; জানালেন, স্মৃতিসৌধে তার আলাদা অনুভূতি কাজ করে, মেয়েকেও সেই ভালোলাগা আর ভালোবাসার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চান।

বিপুলের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া নিঝুম সরকার রাত্রি জানায়, স্বাধীনতা দিবসে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে সে।

তার কথায়, “আমি আমার দেশটা ভালো চাই। সবাই একসাথে মিলেমিশে স্বাধীনভাবে এই দেশে থাকবে।”

নতুন প্রজন্মকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই মেয়েকে স্মৃতিসৌধে নিয়ে আসার কথা জানালেন বিপুল।

“ওরা নতুন প্রজন্মের, ওদের দেশের ইতিহাস জানানোর জন্য এখানে নিয়ে আসি। কতোটা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দেশপ্রেম থেকে এত মানুষ প্রাণ দিয়ে যেতে পারে সেই বোধটা ওর মধ্যে গড়ে দিতে চাই আমি, যেন সে বড় হয়ে এই দেশাত্ববোধ নিয়ে চলতে পারে। শহীদের আত্মত্যাগ যেন তাকে মনে করিয়ে দেয় এই দেশকে গড়ার দায়িত্ব তাদেরই।”

ত্রিশ বছর প্রবাসে থেকে দেশে ফিরে যে বাংলাদেশ দেখছেন, তা নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এসির বাতাস খান আপনারা আমাদের রেমিটেন্সের টাকায়, কিন্তু এয়ারপোর্টে আসলে পরে আমাদের ভোগান্তি পোহানো লাগে, পাসপোর্ট অফিসে শাস্তি পাওয়া লাগে।”

মনের মধ্যে অভিমান থাকলেও দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদের প্রতি অঢেল ভালোবাসার কথা জানালেন মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, “ফুল দিতে আসছি কারণ দেশ স্বাধীন হইছে, এত মানুষ রক্ত দিছে, এই দেশের প্রতি তো ভালবাসা আছে। শেখ মুজিবের লাগি ভালবাসা আছে, হের জমানায় আমরা ছিলাম, সে দেশটা স্বাধীনের জন্য কী করছে আমরা দেখছি।

“স্বাধীনের পর দেশ ছাইড়া গেছি। উনি তো দুর্নীতির বিপক্ষে ছিল, উনার মেয়েও না করে, তাও তো কমে না। নিজে যদি ভালো না হই তাইলে জীবনেও হইব না, পুলিশ-সরকার কেউ পারব না।”

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকালে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। সরকারি-বেসরকারি, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার নিয়ে দলে দলে জনস্রোত প্রবেশ করে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।

আলাদাভাবে পরিবারের সদস্যদের নিয়েও আসেন অনেকে। তবে এবার রোজার কারণে ভিড় ছিল কিছুটা কম।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন দিবসে পতাকা বিক্রি করা এখলাস উদ্দিন বলেন, “এইবার আগের চেয়ে লোক অনেক কম। মানুষ রোজা রাখছে, রোদ অনেক, তাই হয়ত আসে নাই।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রভাষক মিজানুর রহমান বললেন, “আমাদের দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে, কিন্তু যে যার ক্ষেত্রে আমরা দুর্নীতি বন্ধ করতে পারিনি। এটি বন্ধ করতে পারলে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করতে পারলে আমাদের দেশ খুব দ্রুতই সোনার বাংলাদেশে রূপ নিত।”

তার শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণির মাহমুদুল হাসান নাঈম বললো, “আমি দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই। ভাল একটি রাজনীতি চাই। যেন দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়। কেউ যেন অন্যায়ভাবে বেশি সুবিধা না পায়।”

রাজেন্দ্রপুরের ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের প্রায় দুইশ শিক্ষার্থী এসেছিল স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের প্রত্যেকের কাছেই ছিল শহীদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখা চিঠি।

ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রবিউল ইসলাম মানিক বলে, “আমরা আশাবাদী দেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে। এজন্য শিক্ষায় আমাদের আরও কড়াভাবে নজর দেওয়া দরকার। সবার মধ্যে শিক্ষার প্রসার হলে অনৈতিকতা, অপরাধ থাকবে না।”

স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরাও।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের তরফে শ্রদ্ধা জানাতে আসা এ এইচ এম এরশাদ হোসেন বলেন, “সোনার বাংলা বলতে আমরা যা বোঝাই তা পুরোটা হয়নি, তবে কিয়দংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। পঁচাত্তরে যে গ্যাপ হয়েছে তা পূরণ করতে একটু তো সময় লাগবেই।

“দুর্নীতি শব্দটি আপেক্ষিক, এটি এমন যদি হয় যে, দেশের অর্থ বাইরে চলে যাচ্ছে তাহলে সমস্যা, এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী ক্ষুধা-দারিদ্র ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হোক, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”  

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বজ্রবাণীর পর বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে ঢাকাকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে ফেলে পাকিস্তানি বাহিনী।

পৈশাচিক বর্বরতার মধ্যেই ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করে পাকিস্তানি বাহিনী। তার আগেই বাংলাদেশকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে দেশবাসীর উদ্দেশে তারবার্তা পাঠিয়ে যান তিনি, স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয় ইপিআরের ওয়্যারলেস বার্তায়।

মরণপণ লড়াই চলে পরের নয়টি মাস। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ধরা দেয় বিজয়। বাঙালির আত্মত্যাগ পরিণতি পায় বিশ্ব মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামের এক নতুন রাষ্ট্রের অবয়বে।

যে বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, সাম্যের, সমঅধিকারের সমমর্যাদার বাংলাদেশের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধারা দেখেছেন, তার বাস্তব রূপ দেখছেন না হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বাপ্পা‌দিত‌্য বসু।

তার ভাষায়, “স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশ আবার ‘পাকিস্তানমুখী’ যাত্রা করছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছি। এখানে সাম্প্রদায়িক, ধর্মভিত্তিক যে রাজনৈতিক শক্তি তাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে সেই দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।“

স্বাধীনতা দিবসে সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডের তত্ত্বাবধানে (সিআরপি) জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসে পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রায় ১৫ জনের একটি দল। নিজেদের শিরদাঁড়া উঁচিয়ে তোলার এই দিনটিতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারার কষ্ট ভুলে দেশ নিয়ে প্রত্যাশার কথা বলেন তারা।

কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় চলার শক্তি হারিয়ে চার মাস ধরে সিআরপিতে থাকা মো. সবুজ বলেন, “আমরা যেমন বাংলাদেশ চাই তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে, সবকিছু উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে আমাদের মানসিকতা উন্নত হয়নি, মানসিকতাটা যদি ভালো হত, তাহলে আমরা আরও অনেক ভালভাবে বিশ্বে এগিয়ে যেতে পারতাম।”

সিআরপি থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের হুইল চেয়ারে বসিয়ে শহীদ বেদীর কাছে নিয়ে আসতে সহায়তা করেছেন সিআরপিতে গবেষণারত দুই ডাচ শিক্ষার্থী দাবেথ এবং রস।

তারা জানালেন, বাংলাদেশ নিয়ে খুব বেশি জানা না থাকলেও, যখন শুনেছেন এখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন হবে, তখন তারা সেই সুযোগ হারাতে চাননি।

সাম্যের বাংলাদেশের যাত্রায় নারীমুক্তি ও নারীস্বাস্থ্য নিয়েও প্রত্যাশার কথা এসেছে।

মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া মোসলেম বলেছেন, “৫২ বছর অনেক দিন। আমরা অনেক দূর গেছি, কিছু পাইনি যে তাও না। সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে এখন একটি পরিচিত দেশ, কোথাও কোথাও সম্মানেরও। তবে মুক্তিযুদ্ধের যে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সকলের জন্য সাম্যের বাংলাদেশের কথা ছিল সেখানে বারবার ধাক্কা আসছে।”

৫২ বছরে এসেও প্রকৃত ‘নারীমুক্তি দেখছেন না’ ফৌজিয়া। বললেন, “প্রকৃত নারীমুক্তি হয়নি। নারীর প্রতি বৈষম্যের যে কারণগুলো আছে, সেগুলো দূর করে তা রোধে আইন প্রণয়ন করতে হবে সমাজের মধ্যে নারী পুরুষের সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।”

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের প্রক্টর নাসরিন নাহার বলেন, “স্বপ্নের দেশে ডাক্তার হিসেবে আমি প্রত্যাশা করব, বাংলাদেশের সব মানুষ যেন হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পায়। আমাদের মাতৃমৃত্যু হচ্ছে, তা আমরা চাই না, এজন্য আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সবাইকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের প্রাণশক্তি অনেক, আমি বিশ্বাস করি আমরা এটা পারব।”

স্মৃতিসৌধে স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন দেশের নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। তাদের কাছ থেকে এসেছে জাতিগত স্বীকৃতি ও সমঅধিকার নিশ্চিতের আহ্বান।

আদিবাসী অধিকার নিয়ে কাজ করা হরেন্দ্রনাথ সিং বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা বড় অর্জন তা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। কারণ দেশ তো আসলে সবার জন্য সমান হয়ে ওঠেনি। স্বাধীন হওয়ার পরও এতোদিন কেন লাগবে।

“আদিবাসীদের এখন সরকার আরও ‘ছোট করতে চাইছে’, নানা শব্দগত পরিচয় ব্যবহারের মাধ্যমে। আমি জানি না সরকার এসব বলে কী প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কিন্তু আমাদের জন্য এসব শব্দ সম্মানের না, আমরা আদিবাসী হিসেবেই পরিচিত হতে চাই।”

শ্রদ্ধা জানাতে আসা কানুপ্রু মারমা লোটাস বলেন, “স্বাধীনতা এসেছে সব এসেছে ঠিক আছে, কিন্তু ব্যাপারটা তো আমাদের এক দেশের বাসিন্দাদের মধ্যেই। আমাদের প্রতিটি জাতির আলাদা সংস্কৃতি, ইতিহাস নিয়ে আরও আলোচনা হতে হবে। আমি যেমন একজন আদিবাসী হিসেবে বা একজন নারী হিসেবে নানা বৈষম্যের শিকার হই, ঠিক তেমনি অনেক সুবিধাও পাই। তাই আমি বলব, সবাই মিলেই আসলে দেশে থাকতে হবে, দেশ গড়তে হবে।”

স্মৃতিসৌধে দেখা মেলে স্পেন থেকে আসা খাবিরের। তিনি বললেন, “বাংলাদেশ নিয়ে আমি আশাবাদী। এই দেশ কিন্তু তার জনসংখ্যা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে, শিল্পে ভালো করছে, ব্যবসা বাণিজ্য বেড়েছে, মাথাপিছু আয় এখন পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। আজকে এখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার উৎসবে এসে আমি গর্ববোধ করছি।“

শ্রদ্ধা জানাতে এসে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “আমি ব্যক্তি বাঙালি, জাতি বাঙালি হিসেবে স্বাধীন, আমি সারা পৃথিবীতে একজন আন্তর্জাতিক বাঙালি হিসেবেও স্বাধীন। এই স্বাধীনতাকে আমার রক্ষা করতে হবে। এর মূলমন্ত্র হল সদাচার, ভারসাম্যময় চিন্তা। আমার স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে পাশের মানুষটির স্বাধীনতা রক্ষার দিকেও আমার খেয়াল রাখতে হবে। অধিকারের দিকে নজর রাখতে হবে।

“আমাদের সংবিধানে গণতন্ত্র ও সাম্যবাদের যে দর্শন আছে, তার পাশাপাশি আমাদের দেখতে হবে অসাম্প্রদায়িকতা ও সামষ্টিক উন্নয়ন সমাজে হচ্ছে কি না। তাহলে শত বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাবে।”