“তারা জানতে চাচ্ছে, আগামী দিনে বিএনপির নীতিমালা কী হবে। সেটিই আমরা তাদের কাছে তুলে ধরব।”
Published : 10 Apr 2025, 11:59 PM
বিদেশি বিনিয়োগ আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগকে বিএনপির সমর্থনের কথা তুলে ধরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের ‘আগ্রহের জায়গা’ আগামী নির্বাচিত সরকার।
তিনি বলেন, নির্বাচিত যে সরকার আগামী দিনে দেশের দায়িত্ব নেবে তাদের নীতিমালা কী হবে, বিনিয়োগকারীরা তা জানতে চান। এটা তাদের বড় ‘উদ্বেগের’ জায়গা।
বৃহস্পতিবার রাতে বনানীতে হোটেল সারিনায় ‘বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫’ এ অংশগ্রহণকারী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ।
ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সোমবার শুরু হওয়া চারদিনের বিনিয়োগ সম্মেলন শেষ হয়েছে এদিন।
প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে বিএনপি।
বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে ‘বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত’ উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিদেশি বিনিয়োগ আনতে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে সেগুলোকে বিএনপি কীভাবে দেখছে জানতে জাইলে তিনি বলেন, “আমরা দেশে আসা বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করছি। তারা জানতে চাচ্ছে, আগামী নির্বাচিত সরকারের নীতিমালাটা কী হবে? এটা তাদের (বিনিয়োগকারীদের) বড় কনসার্ন।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকার যা করছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমি যেটা বলছি, সেটা বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আমাদের তাদের সমর্থন দিয়ে যেতে হবে। যেখানে জাতীয় স্বার্থে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হচ্ছে আগামী দিনের নির্বাচিত সরকার।
“বিএনপি তো লং টার্মের বিষয়, শর্ট টার্মের বিষয় না। তারা জানতে চাচ্ছে, আগামী দিনে বিএনপির নীতিমালা কী হবে। সেটিই আমরা তাদের কাছে তুলে ধরব।”
বিএনপির নীতিমালা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আমীর খসরু বলেন, “আমাদের বিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে, গ্লোবালি যে বেঞ্চমার্কগুলো আছে আমরা সেগুলোকে ফলো করেছি। গ্লোবালি যেটা আমরা, সবকিছু এডাপ্ট করেছি আমাদের পলিসিতে। তাদের কাছে বাংলাদেশই ভালো বিনিয়োগের জন্য দেশ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
বর্তমানে প্রেক্ষাপটে বিশ্বে বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যারিফে অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে তুলে ধরে তিনি বলেন, “এতে সবাই কিন্তু স্থানান্তর (বিনিয়োগ) করার একটা চিন্তায় আছে। এর জন্য সবচেয়ে ভালো দেশ কোনটা সেটা তারা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আমাদের সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই প্রস্তুতি বিএনপি নিয়েছে আগামী দিনের জন্য।”
বিএনপির শাসনামলে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল করা, বেসরকারি খাতের উদারীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনীতি উদারীকরণের কথা তুলে ধরেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, “বিএনপি যখন ইডিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) করেছে তখন এই উপমহাদেশে কোনো দেশও চিন্তা করে নাই। ঠিক একইভাবে আমাদের এই যে নতুন চিন্তা, উই শুড বি হেড অফ অল আদার কান্ট্রিজ ইন দ্যা রিজিয়ন ইনশাআল্লাহ।”
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও তাজভীরুল ইসলাম, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবির, মাহাদি আমিন ও বিএনপি আন্তর্জাতিক সহপরামর্শ কমিটির সদস্য ইসরাফিল চৌধুরী খসরু।