অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রুপনের রায় মঙ্গলবার

ওয়ারী থানার মামলায় সাত বছর করে কারাদণ্ড হয়েছিল দুই ভাইয়ের, এবার হবে বংশাল থানার মামলায় রায়।

এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। ফাইল ছবি

ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের আরেক মামলার রায় জানা যাবে মঙ্গলবার।

ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ মো. বদরুল আলম ভূঞা বংশাল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিচারক রায়ের দিন ঠিক করেন বলে ওই আদালতের পেশকার ফজলুর রহমান জানান।

ঢাকার ক্রীড়াক্লাব গুলোতে ক্যাসিনো বন্ধে অভিযানের মধ্যে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় এই দুই ভাইকে। তার আগে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায় সিন্দুক ভর্তি কোটি কোটি টাকা আর সোনা, যা ক্যাসিনোর বাণিজ্যের ফসল বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ওয়ারী থানায় অর্থ পাচারের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিলের ওই রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন দুই ভাই।

এখন রায়ের অপেক্ষায় থাকা মামলাটি ঢাকার বংশাল থানার; সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ ২০২০ সালের ৩১ অগাস্ট মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হলেও অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি পান তিনজন।

এনু-রুপন বাদে অন্য আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, ও ভুলু চন্দ্র দেব।

এর মধ্যে ছয়জনকে কারাগার থেকে বিচারের মুখোমুখি করা হয় বলে জানান পেশকার ফজলুর রহমান। মামলায় বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-

অর্থ পাচারে এনু ও রুপনের ৭ বছর করে জেল