নয়া পল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ১৫ নেতাকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

বৃহস্পতিবারই শুনানি হওয়ার কথা।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2022, 12:21 PM
Updated : 8 Dec 2022, 12:21 PM

ঢাকার নয়া পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৫০ বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পল্টন মডেল থানা পুলিশ।

তাদের ৭ দিনের হেফাজতে চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সেন্টু মিয়া।

আসামিদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বাকিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে সেখানে।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, সহ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, রমনা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহম্মদকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরিফ ও এসএম মাহমুদুল হাসান রনি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাঈদ ইকবাল মাহমুদ, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল আমিন ও বাংলা কলেজ ছাত্রদলের শুভ ফরাজী, শরীয়তপুরের বিএনপি নেতা শাহাজাদ, নরসিংদীর সজিব ভূইয়া ও গাজীপুরের সারোয়ার হোসেন শেখকেও হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। 

আসামিদের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বলেন, “গ্রেপ্তার সবার জন্য জামিন আবেদন আমরা প্রস্তুত রেখেছি।” 

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে বিএনপিকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপি কর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে।

ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষের পর বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার সেই অভিযানে কয়েকশ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস রয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ আহত হন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে মকবুল নামে ৩২ বছর বয়সী এক যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করে।

আরও পড়ুন

Also Read: পল্টনের ঘটনায় ৩ মামলা, আসামি দুই হাজারের বেশি

Also Read: অফিসে ঢুকতে পারলেন না ফখরুল, বললেন ‘সমাবেশ হবে’

Also Read: বিএনপি অফিসে তালা, নয়াপল্টনে চলছে না যানবাহন

Also Read: ১০ ডিসেম্বর: কথার খেলা গড়াল সহিংসতায়

Also Read: ‘লাশ ফেলার দুরভিসন্ধিই’ বিএনপির ছিল: কাদের