পুলিশের ওপর হামলা ও বেআইনি সমাবেশ, পুলিশের কাজ ও যান চলাচলে বাধা এবং বিস্ফোরক মজুদের অভিযোগ আনা হয়েছে এসব মামলায়।
Published : 08 Dec 2022, 03:02 PM
ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার চার থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
পল্টন, মতিঝিল, শাজাহানপুর ও রমনা থানায় ‘পুলিশের ওপর হামলা ও বেআইনি সমাবেশ’, পুলিশের কাজ ও যান চলাচলে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে করা এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে।
মতিঝিল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, পল্টন, মতিঝিল ও শাজাহানপুর থানার তিন মামলায় ৫৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ শ থেকে ২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে ‘বিস্ফোরক সামগ্রী রাখা, পুলিশের ওপর হামলা এবং নাশকতার’ অভিযোগে পল্টন থানার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সেখানে আসামি করা হয়েছে ৪৭০ জনকে।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ৪৫০ আসামির মধ্যে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও রয়েছেন।
মতিঝিল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শাজাহানপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা এবং যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে রমনা মডেল থানায় ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এসআই রফিকুল ইসলাম।
এতে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাধারন সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলকে।
এসআই রফিকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।”
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে বিএনপিকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপি কর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে।
ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষের পর বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার সেই অভিযানে কয়েকশ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ আহত হন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে মকবুল নামে ৩২ বছর বয়সী এক যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন
অফিসে ঢুকতে পারলেন না ফখরুল, বললেন ‘সমাবেশ হবে’
বিএনপি অফিসে তালা, নয়াপল্টনে চলছে না যানবাহন