“উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট বা ফিনান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি,” বলেন মেয়র।
Published : 12 Oct 2023, 12:37 AM
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত 'বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণি'র নির্মাণ কাজের ভিত্তি স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, "কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছে। আমরা ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য, পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছি, সে প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
“উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট বা ফিনান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।”
আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করার কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, "আদি বুড়িগঙ্গা তার রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। এর পাশ দিয়েই আমরা নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় আমরা ছয় সারি বিশিষ্ট একটা আধুনিক সেতু নির্মাণ করব।
“এর উত্তরদিকে যে এলাকা রয়েছে আমরা সেখানে আধুনিক মানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০তলা বিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করব। আর দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে তুলব।”
বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ধরে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও চার সারি সড়ক নির্মাণ করা হবে বলে জানান মেয়র তাপস।
তিনি বলেন, “এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।"
কামরাঙ্গীরচর-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, "আপনারা আমাদের উপর যে আস্থা রেখেছেন, তার প্রেক্ষিতে বলতে পারি, এখানে যে সকল সরকারি জমি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে।
“কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন যে সকল জমির প্রয়োজন হবে, আমরা তাদেরকে পূর্ণরূপে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করব। কেউ বঞ্চিত হবে না। যথাসময়ের পূর্বে আপনারা ক্ষতিপূরণে অর্থ পেয়ে যাবেন।"
আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে বলে আশা করেন মেয়র তাপস।
তিনি বলেন, "রাজধানী ঢাকার আধুনিক প্রাণকেন্দ্র হবে কামরাঙ্গীরচর। দুই পাশে নদী পরিবেষ্টিত এই ধরনের নান্দনিক পরিবেশ শুধু ঢাকা শহরই নয়, সারা বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে না। সেভাবেই আমরা কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তুলছি। ইনশাল্লাহ আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই কামরাঙ্গীরচরের চেহারা পাল্টে যাবে। পরিকল্পিত নগরায়নের আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা কামরাঙ্গীরচরবাসী পাবে।"
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, "আজ দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে আমরা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই অর্জনগুলোকে আমরা যাতে রক্ষা করতে পারি, কোনো হায়েনার দল যেন এই অর্জনগুলোকে নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
“উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকব। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে আগামী নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনাকে বিজয় উপহার দেব।"