অবসরের পর নির্বাচন: রিটের রুল শুনানি শুরু

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের একটি বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ জানুয়ারি রিটটি করেন অবসরে যাওয়া এক সামরিক কর্মকর্তা।

চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করা রিটের রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী শুনানি করেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

“মঙ্গলবার এ রিটের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আবার শুনানি হবে,” বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ জানুয়ারি রিট করেন অবসরে যাওয়া সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামাল।

বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এ মামলায় রুল জারি করে, যেখানে বিধানটি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বৎসর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।”

এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে মো. শামীম কামাল ছাড়াও অবসরে যাওয়া আরো অনেক সরকারি কর্মকর্তা রিট করেছেন। ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালত রুল জারি করেন। মঙ্গলবার একত্রে সবগুলো রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।