২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
Published : 27 Jul 2023, 04:42 PM
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ অগাস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তারেক ও তার স্ত্রীকে পলাতক দেখিয়ে এই মামলার বিচার চলেছে। তারা দেড় দশক ধরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানাও রয়েছে।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকেও মামলায় আসামি করা হয়।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। পরে উচ্চ আদালত ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করে দেয়।
অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয় জোবায়দার পক্ষেও। তখন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেয় হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিলের আবেদন করেন জোবায়দা।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
এ বছরের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। গত ২১ মে মামলার বাদী জহিরুল হুদার জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার শুনানির একদিন আদালত কক্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কিতে বিচারককে এজলাস ছাড়তে হয়েছিল। পরের শুনানিগুলোতে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিক্ষোভ চললেও বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত হয়নি।