ছিনিয়ে নেওয়া ৩৫৫ মোবাইলসহ ২৫ জন গ্রেপ্তার

র‌্যাব বলছে, এসব ফোন হয় ছিনতাই করা হয়েছিল, নয় চুরি করা হয়েছিল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 07:30 AM
Updated : 28 Feb 2023, 07:30 AM

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকী নাজমুল আলমের মোবাইল ফোন ছিনতাই নিয়ে আলোচনার মধ্যে র‌্যাবের এক অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে ২৫ জন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫৫টি মোবাইল ফোন।

র‌্যাব বলছে, এসব ফোন হয় ছিনতাই করা হয়েছিল, নয় চুরি করা হয়েছিল।

সোমবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ফোনগুলো উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ফোনের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ৫১টি চার্জার।

রাজধানীতে মোবাইল ফোন ছিনতাই যেন একটি সাধারণ ঘটনা। ভুক্তভোগীরা মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করতেও থানায় যেতে আগ্রহ দেখান না। কারণ দামি ফোন না হলে পুলিশ তেমন গুরুত্ব দেয় না বলে অভিযোগ আছে।

তবে স্মার্টফোন হাতছাড়া হলে সেটি ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। ছবি ছাড়াও ইদানিং ব্যাংকিং পাসওয়ার্ডসহ সংবেদনশীল অনেক তথ্য মানুষ ফোনে রাখে, সেগুলো বেহাত হলে তৈরি হয় নিরাপত্তা ঝুঁকি।

ফোন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন একজন মন্ত্রীও। ২০২১ সালের ৩০ মে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় গাড়িতে বসে ইন্টারনেটে ব্রাউজিং করার সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের ফোনটি গাড়ির জানলার বাইরে ‘ছোঁ’ মেরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তোলপাড়ের মধ্যে ১৯ জুলাই ফোনটি উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে।

২০২২ সালের ৩১ অগাস্ট রাত ১১টার দিকে একই কায়দায় রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে ছিনতাই হয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মোবাইল ফোন। সেটি ৭ সেপ্টেম্বর উদ্ধারের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ।

ফোন ছিনতাইয়ের বিষয়টি সম্প্রতি তুমুল আলোচনা তৈরি করে যখন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকী নাজমুল যখন এর শিকার হন।

শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তার ফেসবুক পেইজে ফোন ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানান।

তিনি লেখেন, “মোবাইলটা উত্তরা থেকে গাড়ির জানালা দিয়ে টান দিয়ে নিয়ে গেছে আমার।”

নাজমুলের এই পোস্টের নিচে অনেকেই জানান, তারাও একইভাবে ফোন হারিয়েছেন।

এই আলোচনার মধ্যেই র‌্যাবের এই ‘সাঁড়াশি অভিযান’ দেখা গেল।

র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বলেন, “মোবাইল চোরাকারবারী এই চক্রের হোতা মো. রবি। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই এবং ছিনতাই করা মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।”

এই চক্রের বিরুদ্ধ অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

যারা গ্রেপ্তার

যাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন, মো. রবি, সোহেল রানা, মো. আব্দুল মজিদ, মো. জুয়েল, মো. আল আমিন, মো. সাগর হোসেন, মো. ফাহিম, মো. ইব্রাহিম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. রানা ইসলাম, রানা চন্দ্র  দাস, মো. সালাউদ্দিন, মোশারফ হোসেন, মো. মানিক, মো. সগির, মো. পারভেজ হোসেন, মো. সবুজ গাজী, মো. আরিফ হোসেন, মো. মুসা শেখ, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. হাদীদ ইকবাল বাপ্পী, শামীম রহমান রাহাত, মো. ইসমাইল, মো. আলী ইসলাম ও মো. রাজু ।