Published : 13 Jul 2023, 01:45 PM
সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে সময়ের আবেদন করা হলে বিচারক ইকবাল হোসেন তা মঞ্জুর করে ১৩ অগাস্ট নতুন দিন ধার্য করে দেন।
এদিন হুমায়ুন খাদেমের পক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে।
হুমায়ুন খাদেম গত ১৬ মে এ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাকে স্ট্রেচারে করে বাসা থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয় বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান জানান।
রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি জমি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি হুমায়ুন খাদেম আট জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।
অন্য আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির (৬ নম্বর এনইজি প্লট) মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার।
এরপর ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয় যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর হচ্ছে- ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অন্য দুটি প্লট হাতবদল হয়েছে।
রাজউকের ওই দুই কর্মকর্তা ক্ষমতা অপব্যবহার করে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দিয়েছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই জমি বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষমতা রাজউকের ছিল না, তাই তারা তথ্য গোপন করে বরাদ্দ দেন। পরে সেখানে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।
অবৈধ বরাদ্দ ও দখলে রেখে ইমারত নির্মাণের দায়ে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ও ৪২০ ধারা এবং ১৯৮৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদক কর্মকর্তা সেলিনা আখতার। ওই বছরের ১০ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেয় ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।