সাবেক রাজউক চেয়ারম্যান খাদেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলার আসামি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2020, 02:40 PM
Updated : 11 Feb 2020, 02:40 PM

ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।

হুমায়ুন খাদেমকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না- সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ মার্চ দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।

গতবছর ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ নিহত হওয়ার পর এই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয়গুলো বেরিয়ে আসতে থাকে।

কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে ২৫ জুন হুমায়ুন খাদেমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক। অক্টোবরের শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

দুদকের আদালত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, এ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে এফআর টাওয়ারের ভূমি মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক, রূপায়ন হাউজিং এস্টেটের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান ও সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ জামিনে রয়েছেন।

দুদক বলছে, এফআর টাওয়ারের ১৫ তলা থেকে ২৩ তলা অনিয়মের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। শুরুতে ১৫ তলা ভবনের নকশা অনুমোদনেও নীতিমালা মানা হয়নি। তদন্তে নেমে ভবনটির দুটি নকশা হাতে পায় দুদক। একটি নকশায় ১৮ তলা ও অন্যটিতে ২৩ তলা দেখানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করেন।”

১৯৯০ সালে ১৫ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকের অনুমোদন পান এস এম এইচ আই ফারুক। পরে ১৯৯৬ সালে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন চেয়ে সংশোধিত নকশা জমা দেন।

সে সময় তাদের জানানো হয়, সংশোধিত নকশা ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী হয়নি। তাছাড়া প্রস্তাবিত ভবনের উচ্চতা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধ অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য নয়।

কিন্তু এর এক মাসের মধ্যে সংশোধিত ওই নকশা অনুমোদন করা হয়। আর সেই কাজে ‘অবৈধ লেনদেন’ হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।