সাভারের ধামরাইয়ে গরু চুরির মামলায় ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক বাবলী আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্রটি জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা, ধামরাই থানার এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম, রোববার তথ্যটি জানা যায়।
এই আদালতে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, এখনও গ্রহণ করা হয়নি।”
অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন মো. হাবুল সরদার, আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম ও মো. মোর্শেদ আলী।
এছাড়া নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় পলাতক গরু চোর ও ট্রাক চালককে অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে রাথা হয়নি। এমন ক্ষেত্রে পরে নাম-পরিচয় পাওয়া গেলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গরু চুরির ঘটনায় আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ওই বছরের ২ নভেম্বর ভোরে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ছাত্রলীগ তাকে বহিষ্কার করে। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে সাভারের ধামরাইয়ের আব্দুল লতিফ তার দুইটি গরু গোয়াল ঘরে রেখে দরজায় তালা মেরে ঘুমাতে যান। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাইরে শব্দ শুনতে পান। ঘুম থেকে উঠে দেখেন ৪ থেকে ৫ জন চোর তার দুটি গরু ট্রাকে তুলে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন বের হন। ট্রাক থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে আহত হন আসামি হাবুল সরদার।
এরপর স্থানীয়রা তাকে আটক করে। তার কাছে জানা যায়, আসামি আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মো. মোর্শেদ আলী ও পলাতক শহীদ গরু দুটি চুরি করে বাবলী আক্তারের কাছে বিক্রি করেন। এরপর বাবলী গরুগুলো বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করেন।
বাবলী আক্তার সাভারের পৌর এলাকার নয়াবাড়ির বাদশা মিয়ার মেয়ে। তিনি ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সাভার সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।