সীমান্ত এলাকায় স্থাপনার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলে নেবে ভারত: মোমেন

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রপ্তানি যাতে হুট করে বন্ধ না করা হয় সে বিষয়েও আলোচনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2023, 03:02 PM
Updated : 9 March 2023, 03:02 PM

সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের স্থাপনা নিয়ে ভারত সরকার যে আপত্তি তুলে আসছে, নয়া দিল্লি তা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

নিজের নয়া দিল্লি ও কাতার সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কিছু সমস্যা ছিল যে, ১৫০ গজের মধ্যে যে সমস্ত স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করছিলাম, ভারত তাতে বারবার বাধা দেওয়ায় কাজ হচ্ছে না।

“যেমন ধরুন, আমাদের রেললাইনটা। তারা এগুলোতে তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করেছে। তার ফলে আমাদের কাজ সুচারু হবে। এটা প্রায় কয়েক জায়গাতে, তারা (আপত্তি) তুলে নেবে।”

১৯৭৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী কেউই শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না।

কিন্তু প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে গত কয়েক বছর ধরে এমন এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে উভয় দেশ।

তবে, ভারত সরকারের আপত্তির কারণে সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে।

কসবা স্টেশন, সালদা নদী স্টেশন এবং সালদা নদী সেতু সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ করায় বিএসএফের বাধার খবর গণমাধ্যমে আসে, ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের আখাউড়া-লাকসাম অংশে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।

এর আগে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আপত্তির মুখে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণকাজও বন্ধ রাখার খবর আসে গণমাধ্যমে।

জি-২০ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে গত সপ্তাহের শুরুতে ভারত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। ভারতের আমন্ত্রণে অতিথি দেশ হিসাবে এবার জি-২০ জোটের কার্যক্রমে অংশ নেয় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরদিন শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওই বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার মোমেন বলেন, “আমাদের দুপক্ষের যেসব সমস্যা রয়েছে, সীমান্তে মারা যাওয়া প্রভৃতি, আমরা এগুলো আবার তুলেছি। বলেছি যে, অঙ্গীকারটা রাখেন…

“এবং আমরা কেউ চাই না, তারাও চায় না আমরাও চাই না, একটা লোকও মারা যাক। তবুও, দুর্ঘটনা ঘটে।”

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রপ্তানি যাতে হুট করে বন্ধ না করা হয়, সে বিষয়ে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানানোর কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এসেনশিয়াল পণ্য যাতে হঠাৎ করে সাপ্লাইটা বন্ধ না করে, সেটাতেও তারা রাজি এবং অনেক সময় মার্কেটটা ঠিক আগে থেকে জানা যায় না বলে এমন হয়। আমরা দেখব এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না হয়।”