জুলাই আন্দোলনের ইতিহাসের নতুন অংশসহ নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন পাঠ্যবই পেলেন শিক্ষার্থীরা।
Published : 02 Jan 2025, 01:22 AM
বাংলাদেশের গণ আন্দোলনের ইতিহাসে জোর কদমে ঢুকে যাওয়া জুলাই-অগাস্ট গণ আন্দোলনের ইতিহাস যেমন নতুন শিক্ষাবর্ষের নতুন বইগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক একই অধ্যায়ে লেখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথাও।
ইতিহাসের বাঁকবদলের এমন সব ঘটনাবলী তুলে ধরা হয়েছে আগের শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইগুলোতে।
নতুন বইতে উঠে এসেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দেড় দশকের সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে রচিত ‘শহীদদের বীরত্বগাঁথা’।
আর বাদ পড়েছে আন্দোলনের জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বাণী ও ছবি। যুক্ত হয়েছে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের গ্রাফিতি।
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের বইতে এসব পরিবর্তনের মধ্যে ইতিহাস শেখাতে শিশু-কিশোরদের জন্য তুলে ধরা হয়েছে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান কান্ডারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ। নতুন করে ফিরে এসেছে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা।
বইতে আছে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথাও। আছেন মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদের কথা। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানীর কথা এসেছে বইতে।
অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধে দেশি-বিদেশি সহায়তা ও পাকিস্তানের পক্ষে কোন দেশ অবস্থান নিয়েছিল সেগুলোও বইতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল-সে ইতিহাসও প্রতিফলিত হয়েছে বইতে। স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যের ইতিহাসও এসেছে বইতে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার হাজার অফিসার ও জোয়ানের আত্মত্যাগের ইতিহাসও আছে বইতে।
আছে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের বন্ধু ‘বিটলস’ খ্যাত গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসনের সেই ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশের’ ইতিহাস।
নতুন পাঠ্যবইতে ইতিহাস অংশে পরিবর্তন আনতে জোর দেওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন বই ছাপানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছিলেন, “দেশের জন্য যার যতটুকু অবদান তা সেইভাবেই পাঠ্যবইতে আসছে।”
বুধবার জুলাই আন্দোলনের ইতিহাসের নতুন অংশসহ নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন পাঠ্যবই পেলেন শিক্ষার্থীরা।
আগে শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জনের জেরে ছাপার কাজ দেরিতে শুরু করায় সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দিতে পারেনি সরকার। কিছু পাঠ্যবই হাতে বছর শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এজন্য এক অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সরকারের পালাবদলের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বই ছাপানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বইগুলো পরিবর্তন ও পরিমার্জনের কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনেও পাঠ্যবইগুলোর সফট কপি প্রকাশ করেছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব শ্রেণির ৪৪১টি বই আমরা পরিমার্জন করেছি। সেগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে দ্রুততার সঙ্গে তুলে দিতে চাচ্ছি।”
সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার দিন পর্যন্ত ৪১ কোটি বইয়ের মধ্যে আমরা ৬ কোটি বই পাঠিয়েছি। ৪ কোটি বই ট্রাকে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে এবং বুধবারের মধ্যে এগুলো পাঠানো হয়ে যেতে পারে।
“৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের অবশিষ্ট সব বই, ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের ৮টি বই আর ২০ জানুয়ারির মধ্যে বাকি সব বই আমরা দিয়ে দিতে পারবো। আর দশম শ্রেণির বই ৫ জানুয়ারি দিয়ে দিতে পারবো।”
জুলাই ‘শহীদদের বীরত্ব’
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের আমার বাংলা বইতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের বীরত্বগাঁথা।
এ বইতে ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ নামের ওই প্রবন্ধে শহীদ মীর নিসার আলী তিতুমীর, শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, শহীদ আমানল্লাহ মো. আসাদুজ্জামান, শহীদ মতিয়ুর রহমান মল্লিক, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক, শহীদ শামসুজ্জোহা, শহীদ নুর হোসন, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের কথাও বলা হয়েছে।
এতে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা হয়, ”এত ত্যাগের পরও এ দেশের মানুষ অধিকার পায় না, বৈষম্য কমে না। অধিকারের দাবি ও বৈষম্যের কথা বলতে গিয়ে এদেশের শিক্ষার্থীরা তাই ২০২৪ সালে আবার রাস্তায় নামে। সরকারি বাহিনী নির্মমভাবে সেই আন্দোলন দমন করতে চায়।
”পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রংপুরে ছাত্রনেতা আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়ান। পুলিশ তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। এতে আন্দোলন সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
”সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিশাল এক গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। ঢাকার উত্তরায় শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধ আন্দোলনরত সবাইকে পানি বিতরণ করতে করতে নিহত হন।”
ওই প্রবন্ধে জুলাই আন্দোলনে নিহত নৌবাহিনী কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজ ও দশম শ্রেণির ছাত্র আনাসের আত্মত্যাগও তুলে ধরা হয়েছে।
‘শহীদের নামে ভুল’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টঙ্গীর সাহাজউদ্দিন সরকার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ‘শহীদ’ নাফিসা হোসেনের নাম ভুল করে ‘নাহিয়ান’ ছাপা হয়েছে। পরে বিষয়টি ধরা পড়লে অনলাইনে প্রকাশিত পিডিএফ কপিতে তা সংশোধন করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে যে বই যাচ্ছে তাতে নাহিয়ানই রয়ে গেছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ওই ভুলটি সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি দেব।”
বাদ শেখ হাসিনার বাণী ও ছবি
আগের শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের পেছনের মলাটে শেখ হাসিনার নানা বাণী স্থান পেয়েছিল। যেগুলোতে তাকে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
নতুন বছরের বইতে সেগুলো বাদ দিয়ে একেক বইতে জুলাই-অগাস্ট গণ আন্দোলনের একেকটি গ্রাফিতির ছবি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষণীয় কিছু চিরন্তন বাণী রাখা বহাল রাখা হয়েছে।
একই অধ্যায়ে শেখ মুজিবুর ও জিয়াউর রহমান
নতুন বইতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের পাশাপাশি ওই সময়ের মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ছবির পাশাপাশি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার ছবিও দেওয়া হয়েছে।
এবারের অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় ‘বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ’-তে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান কান্ডারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ভাষণের বিষয়ে বলা হয়েছে,”বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণে বিজয়ী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।”
এতে লেখা হয়েছে, ”বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ইয়াহিয়া খান ও তার সহযোগী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কর্মকাণ্ড দেখে বুঝেছিলেন এরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তাই তিনি বলেন, প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো।
”প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত রাখা। বক্তৃতায় শেষ অংশে “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ঘোষণা দিয়ে তিনি স্পষ্টভাবেই স্বাধীনতার ডাক দেন।”
ওই অধ্যায়ে ২৫ মার্চের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চালানো নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কথা তুলে ধরা হয়। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তার হওয়ার কথাও বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে।
এ অধ্যায়েই বীরউত্তম তৎকালীন মেজর ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের থেকে আসা স্বাধীনতার ঘোষণা কথাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইটের পর রাজনৈতিক সংকট ও নেতৃত্বশূন্য অবস্থার কথা তুলে ধরে বইতে লেখা হয়েছে, “এমন পরিস্থিতিতে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ২৬শে মার্চ তারিখে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ২৭শে মার্চ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আবারও স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
”তাঁর এই ঘোষণা সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে প্রচন্ড আশা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। সকলেই স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে।”
অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের ‘সাহিত্য কণিকা’ বইতে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হুবুহু।
শেরেবাংলা, মওলানা ভাসানী, শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু
তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও ইতিহাস বইতে ‘আমাদের চার নেতা’ নামের একটি অধ্যায়ে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
পাঠ্যবইতে মুজিব নগর সরকার
অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইতে মুজিব নগর সরকারের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
তৃতীয় অধ্যায় ‘বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ’-তে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। একে কখনো অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার, আবার কখনো প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারও বলা হয়। তবে এটি মুজিবনগর সরকার নামে বেশি পরিচিত। এ সরকারের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়।
এ অধ্যায়ে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, উপ রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ অর্থমন্ত্রী এম, মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান, পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম তুলে ধরা হয়।
প্রধান সেনাপতি ওসমানী
ওই অধ্যায়েই মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানীর কথা লেখা হয়েছে। মুক্তিবাহিনী গঠন ও কার্যক্রম অংশে বলা হয়েছে, মুজিবনগর সরকার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এম এ জি ওসমানী।
মুক্তিযুদ্ধ দেশি-বিদেশি সহায়তা
নতুন বছরের অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্যবইতে তৃতীয় অধ্যায়ে ‘বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ’ অংশে মুক্তিযুদ্ধে দেশি-বিদেশি সহায়তা অংশ তুলে ধরা হয়।
এতে ‘বিটলস’ খ্যাত গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসনের ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর অবদান তুলে ধরা হয়। সরকারের পাশাপাশি ভারতের খ্যাতিমান শিল্পী রবি শঙ্করের উদ্যোগে নিউইয়র্কে এ কনসার্ট আয়োজনের কথা তুলে ধরে বলা হয়, কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অবস্থান, সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার হাজার অফিসার ও জোয়ানের আত্মত্যাগের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে দেশটির সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে।