আগামী ৩০শে এপ্রিল শুনানির পরবর্তী দিন; সেদিন নুরুল হক নূরকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
Published : 06 Mar 2024, 06:45 PM
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর ভবিষ্যতে আদালত অবমাননাকর কোনো বক্তব্য না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চে নূর তার অঙ্গীকারনামা জমা দেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
নুরের আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নুরুল হক নুর আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন তার বক্তব্যের জন্য। আদালত পরবর্তীতিতে আবার আজকে দিন ধার্য করেন।
“আজকে আবার নুরুল হক নুর সাহেব এফিডেভিটের মাধ্যমে উনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি আদালতে এও সাবমিট করেছেন ভবিষ্যতে পাবলিক স্পিচ যখন দিবেন তখন আদালতের বিষয়ে কথা বলায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন।”
এই আইনজীবী বলেন, “মহামান্য আদালত আমাদের সাপ্লিমেন্টারি এফিডেভিটটা রেকর্ডে রেখেছেন এবং আগামী ৩০ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। মহামান্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন সেদিন যেন কনটেমনার অর্থাৎ নুরুল হক নুর সাহেব আদালতে উপস্থিত থাকেন।”
গত ৭ ডিসেম্বর ‘বিচারকদের সতর্ক করে ভিপি নুরের আপত্তিকর বক্তব্য’ শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ঢাকার বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশের খবর নিয়ে সংবাদটি করা হয়। সেখানে বিচারকদের বিরুদ্ধে নুরুল হক নুর ‘আপত্তিকর‘ বক্তব্য দেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করে এবং ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
ওইদিন এ বিষয়ে নুরের ব্যাখ্যা, শুনানি ও আদেশের জন্য দিন রাখা হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি।
১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় সেটি সংশোধন করে ৬ মার্চ আবার দিতে আদেশ দেয় আদালত।
তার ধারাবাহিকতায় বুধবার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন:
বিচারক সম্পর্কে ‘আপত্তিকর‘ বক্তব্য, নুরকে হাই কোর্টে তলব