মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেলে এ তিনদিনের মধ্যে যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করা হবে, বলেছেন অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
Published : 03 Oct 2024, 08:59 PM
উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেলে এ তিনদিনের মধ্যে যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া এবারের পরীক্ষার ফল কীভাবে প্রকাশ করা হবে তা নির্ধারণে সময় লেগে যাওয়ায় সাড়ে ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী এখনও ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন।
অধ্যাপক তপন কুমারের দেওয়া তথ্যে এবার তাদের অপেক্ষা ফুরাচ্ছে।
বোর্ডগুলোর সমন্বয় কমিটির সভাপতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৫, ১৬ ও ১৭ অক্টোবর এ তিনদিনের যেকোন একদিন রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকার পতনের আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ ঘিরে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কিছু শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরে বাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে ঘোষণা আসে।
এবার ফলাফল কীভাবে হতে পারে সে বিষয়ে অধ্যাপক তপন এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “যে কয়টা বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে হবে, যেগুলোর পরীক্ষা হয়নি সেগুলোর এসএসসিতে যে নম্বর পেয়েছে সেটাই সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন হবে।”
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। ১১ বোর্ডের অধীনে এবার প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে।
এরপর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ১৬ জুলাই রাতেই সারাদেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ অগাস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৪ অগাস্ট থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিত হয়ে যায়।
বারবার স্থগিতের পর ১১ অগাস্ট থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সরকার পতনের পর সহিংসতায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র পুড়ে গেলে পরীক্ষা ফের স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেজন্য নতুন সূচিও প্রকাশ করেছিল কর্তৃপক্ষ; কিন্তু পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
পরে অন্তর্বর্তী সরকার তা আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে অর্ধেক প্রশ্নে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২০ অগাস্ট পাঁচ শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ঢুকে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবি তোলে। পরে সেদিনই সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো না নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো আন্দোলনের মুখে বাতিল
এইচএসসি: ফলাফল মূল্যায়নে পরীক্ষার্থীদের তথ্য চাইছে শিক্ষা বোর্ড
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিভক্ত নটর ডেমের শিক্ষার্থীরা
এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে, সূচি প্রকাশ
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ব্যান্ডের নাম, কী বলছেন শিল্পীরা
বৃষ্টি মাথায় পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা