সচিবালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, রমনা, শাহবাগ ও বিমানবন্দর থানায় আনসারদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Published : 26 Aug 2024, 05:56 PM
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও ও ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩৮৮ আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার বিকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
রমনা, শাহবাগ ও পল্টন থানার মামলায় শুনানি হয় মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে এবং বিমানবন্দর থানার শুনানি হয় মহানগর হাকিম মোশাররফ হোসেনের আদালতে।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই সাইফুর রহমান, আলমগীর হোসেন ও মো. মোজাফফর আলী জানান, আদালতে গ্রেপ্তারদের রিমান্ড আবেদন না হলেও তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মো. মোশারফ হোসেন মোল্লা। শুনানি নিয়ে জামিন আবেদনগুলো নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
কারাগারে যাওয়া ৩৮৮ জনের মধ্যে রমনা থানার মামলায় ৯৮ জন, শাহবাগ থানায় ১৮৯ জন, পল্টন থানার মামলায় ৯৫ জন, বিমানবন্দর থানায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাস্তা অবরোধ করে বেআইনি সমাবেশ ও পরস্পর যোগসাজসে সচিবালয়ে অনুপ্রবেশ করে দাঙ্গা সৃষ্টির পাশাপাশি পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁঠা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সচিবালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর আক্রমণ, সচিবালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে আটক, গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যার উদ্দেশে গুরুতর ও সাধারণ জখম করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ের সামনে আনসারদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে আনসার সদস্যরা সচিবালয়ের গেটে অবস্থান নিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখায় সন্ধ্যার পরে সংঘর্ষ হয়।
এতে ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হওয়ার তথ্য তুলে ধরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী আনসারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় বৈষম্যিবরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এরপর সরকারি কাজে বাধা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে পরে পল্টন থানায় মামলা হয়। সোমবার বিকালের মধ্যে মামলা হয় শাহবাগ ও রমনা থানায়। পরে বিমানবন্দর থানাও একটি মামলা হয়।
পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার থানায় পুলিশ বাদী হয় ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। সেখানে অজ্ঞতনামা আরো তিন থেকে চার হাজার আনসার সদস্যদকে আসামি করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার ওবায়দুর রহমান এর আগে বলেন, রোববার ঘটনায় ৩৭১ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে শাহবাগে ১৯১ জন, রমনায় ৮৫ জন, পল্টন থানার মামলায় ৯৫ জন গ্রেপ্তার হন।
আরও পড়ুন-