ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজের নামে দুটি এবং জিল্লুল হাকিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুদক।
Published : 16 Jan 2025, 06:11 PM
‘কোটি টাকার’ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে ‘অস্বাভাবিক লেনদেনের’ অভিযোগে ময়মনসিংহ-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই সঙ্গে রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম ও তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম এবং ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের নামেও ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বাবেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর গত বছরের অক্টোবরে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। আর হাকিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয় অগাস্টে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার বাবেল ও হাকিমের পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করার কথা সাংবাদিকদের জানান।
প্রথম মামলায় গোলন্দাজের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ৪৬০ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন ও ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬০ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও লাখ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৬ মার্কিন ডলারের ‘অস্বাভাবিক লেনদেনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় ফাহমী গোলন্দাজ ও তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজকে আসামি করে এক কোটি দুই লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৩ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন এবং তিন ব্যাংক হিসাবে তিন কোটি ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়।
সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে মামলায় ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন এবং ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৭৮ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার টাকার ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীল লীগের টিকেটে জয়ী হন জিল্লুল হাকিম। ২০২৪ সালে রেলমন্ত্রীর দায়িত্বও পান রাজবাড়ীর এই সংসদ সদস্য।
আরেক মামলায় জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে আসামি হয়েছেন স্ত্রী সাঈদা হাকিম। তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৫ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন ও ছয় ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকার ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপর মামলায় আসামি হয়েছেন জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, “জিল্লুল হাকিমের অবৈধ সম্পদে স্ত্রী ও ছেলে সম্পদশালী হয়েছে।”
মিতুলের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৬৭১ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন ও একটি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার ‘অস্বাভাবিক লেনদেন’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।