এ পর্যন্ত বইমেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২১টি, বলছে বইমেলার জনসংযোগ বিভাগ।
Published : 25 Feb 2025, 12:56 AM
অমর একুশে বইমেলার শেষ সপ্তাহে জমজমাট সোহরাওয়ার্দী উদ্যান; দূরদূরান্ত থেকে আসছেন বইপ্রেমীরা, তালিকা ধরে স্টল ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনছেন।
মেলার শেষ দিনগুলোতে নতুন প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। এ পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। এসব বইয়ের মধ্য থেকে পছন্দের বই সংগ্রহে মেলার শেষ দিকেই আসছেন বইপ্রেমীরা।
সোমবার রাজশাহী থেকে জুনায়েদ আহমেদ এসেছিলেন মেলায়। হাতে একটা কাগজে লেখা অনেকগুলো বই ও প্রকাশনীর নাম। ওই তালিকা ধরে বিভিন্ন স্টল ঘুরছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জুনায়েদ বলেন, প্রতি বছরই তিনি বইমেলা থেকে বেশ কিছু বই কেনেন। সেগুলো গ্রামের স্কুলের ছেলেমেয়েদের তিনি উপহার দেন।
সৈকত তালুকদার নামে আরেকজন বললেন, বই কেনার জন্য এবার ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন। নিজের বাসার জন্যেই প্রতিবছর এভাবে তিনি বই কেনেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ ছাড়া সারা বছর বই কিনি। খুব ইচ্ছা চাকরিজীবন শেষ হলে গ্রামে গিয়ে একটা বাড়ি বানাব, যেখানে আমার থাকার কক্ষটি ছাড়া পুরো বাড়িজুড়েই থাকবে বই।
“আমার বাড়িটিতে পাঠাগার হিসেবে গ্রামের ছেলেমেয়েরা এসে বই পড়বে। এজন্যই বই সংগ্রহ করি।”
জুনায়েদ ও সৈকতের মত আরও অনেকেই মেলার শেষ সপ্তাহে এসেছেন বই কিনতে। প্রকাশনীগুলোর বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, একুশে ফেব্রুয়ারির পর থেকে মেলায় বিক্রি বেড়েছে।
দোলন প্রকাশনীর কামাল মুস্তাফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেলা শুরুর পর অনেকে নানান সূত্র থেকে জানার চেষ্টা করেন কী বই এসেছে। আর শেষ সপ্তাহে তালিকা হাতে নিয়ে অনেকেই বই কিনতে আসেন।”
সোমবার ছিল বইমেলার ২৪ তম দিন। এদিন মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায়, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বইমেলার জনসংযোগ বিভাগ বলছে, সোমবার বইমেলায় নতুন বই এসেছে ৯৮টি। এতে বইমেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২১টি।
সোমবার সবচেয়ে বেশি ৭৮১টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রকাশিত হয়েছে উপন্যাস, ৩৭০টি। এরপর গল্পগ্রন্থ ৩০৫টি, প্রবন্ধ ৯৮টি, গবেষণাগ্রন্থ ৫৪টি, ছড়া ৫৮টি, শিশুতোষ ৯১টি, জীবনীগ্রন্থ ৬৫টি, রচনাবলি ১৮টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১৭টি, নাটক বিষয়ক ২২টি, বিজ্ঞান ৪৫টি, ইতিহাস ৫৫টি, রাজনীতি ২২টি, স্বাস্থ্য বিষয়ক ২০টি, ভাষা বিষয়ক ১৩টি, গণঅভ্যুত্থান ৩১টি, ধর্মীয় ৩৮টি, অনুবাদ ২৬টি, অভিধান সাতটি, সায়েন্স ফিকশন ৩৪টি এবং অন্যান্য ক্যাটাগরির বই ৩২২টি।
এর আগের দিন রোববার নতুন বই এসেছে ৬৭টি, শনিবার এসেছে ১৪৪টি।
বইয়ের তালিকায় নতুন
বইমেলায় মাজহার সরকারের কবিতার বই 'ঝিটকি ফুলের ক্ষমতা' এনেছে জাগৃতি প্রকাশনী এবং বেঙ্গলবুকস এনেছে পিয়াস মজিদের কবিতাগ্রন্থ ‘রূপকথার রাস্তাঘাট’। এ ছাড়া নবান্ন প্রকাশনী এনেছে জয়দুল হোসেনের কবিতার বই ‘ফুল পাখি চাঁদ’। চৈতন্য এনেছে জুয়েইরিযাহ মউ এর কবিতার বই ‘খুলিতে হাসপাতাল’। গ্রন্থিক এনেছে ইলা মিত্রকে নিয়ে লেখা প্রশান্ত হালদারের নাট্যগ্রন্থ ‘ইলা’।
অন্যপ্রকাশ এনেছে সালেহ উদ্দিন আহমদের গল্পগ্রন্থ 'বেচু সরদারের ট্রুথ কমিশন'। এটি লেখকের দ্বিতীয় গল্প সংকলন। বইয়ের নামকরণ দেখে মনে হতে পারে, এটি রাজনৈতিক ঘরানার বই। তবে সালেহ উদ্দিন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি গল্পগ্রন্থ, যেখানে মানুষের আনন্দ-বেদনার গল্প সংকলিত হয়েছে।”
রাজনৈতিক বই লিখে খ্যাতি পেয়েছেন মহিউদ্দিন আহমদ। এবারের মেলায় প্রথমা প্রকাশন এনেছে এ লেখকের নতুন বই ‘তাজউদ্দিন নামে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন’, ‘বামপন্থার সুরতহাল: বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পরিক্রমা’ এবং ‘১৯৭১ কলকাতা কোন্দল’। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা ‘খালেদা’ নামে একটি বই এনেছে অনন্যা প্রকাশনী।
ইউপিএল প্রকাশ করেছে আব্দুর রাজ্জাকের 'ভারতের রাজনৈতিক দল', ফারুক আহমেদের গবেষণাগ্রন্থ 'সিলেটের ইতিহাস', সারোয়ার তুষারের ‘ফিলিস্তিন: একুশ শতকের উপনিবেশের ইতিহাস’। সাহিত্য প্রকাশ এনেছে রফিউর রাব্বীর 'নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলন'।
বেঙ্গল বুকস এনেছে সাংবাদিক তরুণ সরকারের লেখা নতুন বই ‘ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’। কথাপ্রকাশ এনেছে সালেক খোকনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ ‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’ এবং শৈশব প্রকাশ এনেছে সালেক খোকনের ‘ভাগ্য জয় করল তারা’ নামে দুটি বই। চৈতন্য এনেছে আশ্রাফুল করিমের 'মাজার সংস্কৃতির বহুমাত্রিক প্রভাব'। সময় প্রকাশন এনেছে সৈয়দা আঁখি হকের লেখা 'সৈয়দ শাহনূর জীবনপুথি ও নূর নছিয়ত'।
অন্যদিকে কথা প্রকাশ থেকে এসেছে শাহনাজ মুন্নীর 'প্রিজন ডিল্যাক্স ট্যুর' এবং সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমামের ‘বনের মানুষ মানুষের বন’। আগামী প্রকাশনী এনেছে শিমুল সালাহ্উদ্দিনের 'কবির মুখোমুখি কবি'। প্রথমা প্রকাশন এনেছে আফসানা বেগমের উপন্যাস ‘ঘরের দিকে যাওয়া’। হাওলাদার প্রকাশনী এনেছে আরিফ মঈনুদ্দীনের ‘জুরানপুরের গল্প’।
মাতৃভাষা প্রকাশ এনেছে আমীন আল রশীদের গবেষণা গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের সংসদীয় বিতর্ক: জাতীয়তাবাদ, বাকশাল, রাষ্ট্রধর্ম ও অন্যান্য’। কথাপ্রকাশ এনেছে সাহাদাত পারভেজের প্রবন্ধ ও সমালোচনা বিষয়ক বই ‘আলোকচিত্রপুরাণ’।
প্রথমা প্রকাশন এনেছে আলতাফ পারভেজের ‘লাল জুলাই: চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পথপরিক্রমা’। প্রথমা প্রকাশন এনেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও জনমুক্তির প্রশ্ন’, মতিউর রহমানের ‘গোলাম আম্বিয়া খান লুহানী: এক অজানা বিপ্লবীর কাহিনি’, আনিসুর রহমানের সম্পাদনায় ‘ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: অগ্রন্থিত চিঠিপত্র’ এবং আলী রীয়াজের ‘আমিই রাষ্ট্র’। ঐতিহ্য এনেছে শান্তনু কায়সারের ‘কাব্য ও নাট্য: কাব্যনাট্য’। রিদম প্রকাশনী এনেছে বিবেকানন্দ রায়ের লেখা 'চলচ্চিত্রের সেন্সর ব্যবস্থা'।
আদর্শ এনেছে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের ‘সাংস্কৃতিক পুঁজি ও নতুন বাংলাদেশ’, মাহবুব মোর্শেদের ‘বাসনাবিলাস’, সালাহ উদ্দিন শুভ্র’র উপন্যাস ‘আজাদি’।
প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য জানিয়েছে, তারা এবার ৫২টি বিষয়ের উপর ২ শতাধিক বই প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে ২৫জন নতুন লেখকের প্রথম বইও আছে।
অপরদিকে প্রকাশনা ও বই বিপণন কেন্দ্র বাতিঘর এবার ৬০টির মত নতুন বই এনেছে।
অন্যপ্রকাশ এনেছে মোস্তফা মামুনের 'সেরা দশ গল্প'। মোস্তফা মামুনের ভাষ্য, “গল্পের সন্ধান আর গল্প শোনানোর চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু নেই।”
পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এনেছে তাপস রায়ের 'রসিক শরৎচন্দ্র'। দশমিক প্রকাশনী এনেছে সুমন মাহমুদের বই ‘ইস্কাটনের লাল বাড়িটা’। এ ছাড়া শিশুসাহিত্যিক মাসুম আওয়ালের ‘ছড়া অর্ধশত’ এনেছে দশমিক এবং শিশু কিশোরদের জন্য গল্পের বই `বিজ্ঞানী বুলুর মহা আবিষ্কার’ এনেছে দোলন প্রকাশনী।
কথাপ্রকাশ এনেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক জীবন’। অনুপম প্রকাশনী এনেছে মোরশেদ শফিউল হাসানের লেখা ‘হাওয়ার গায়ে লেখাজোখা: দহনকালে দিনলিপি’।
প্রথমা প্রকাশন এনেছে ক্রীড়াবিদ জোবেরা রহমান লিনুর লেখা স্মৃতিকথা ‘জীবনজালের এপার-ওপার’। স্বপ্ন ৭১ প্রকাশনী এনেছে সাফজয়ী নারী ফুটবল দল নিয়ে বদিউজ্জামান মিলনের বই ‘অপরাজিতা’।
কথাসাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক মোজাফ্ফর হোসেনের দুটি বই এসেছে মেলায়। এর মধ্যে আছে প্রবন্ধের বই ‘ব্রাহ্মসমাজে ইসলাম, সাহিত্যে সক্রিয়তাবাদ ও অন্যান্য’। অন্যটি এই লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কল মি লাইক’। উপন্যাসটি এনেছে ‘ক্রিয়েটিভ ঢাকা’ এবং প্রবন্ধের বইটি এনেছে ‘বিদ্যাপ্রকাশ’।
আগামী প্রকাশনী এনেছে হাসনাত আবদুল হাইয়ের উপন্যাস ‘জুলাই ক্যালাইডোস্কোপ’। ঐতিহ্য এনেছে সরদার আবদুর রহমানের 'গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাত দশক: ইসলামপন্থি দলগুলোর ভূমিকা'।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশ হয়েছে জোবাইদা নাসরীনের 'নারী ও লিঙ্গ রাজনীতি প্রাসঙ্গিক বিবেচনা'। অন্যপ্রকাশ এনেছে স্বকৃত নোমানের উপন্যাস 'আচার্য ও তার অলীক পাণ্ডুলিপি', সাদাত হোসাইনের 'যেতে যেতে তোমাকে কুড়াই'। আগামী প্রকাশনী এনেছে ফরহাদ মজহারের 'সামনাসামনি, ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কথাবার্তা', 'গণপ্রতিরক্ষা' এবং এম আবদুল আলীমের 'ভাষা আন্দোলনে আবদুল গাফফার চৌধুরী'।
এ ছাড়া আগামী প্রকাশনী এনেছে হাসনাত আবদুল হাইয়ের 'চীন দেশে কয়েকবার', নূরুল ইসলামের 'গান্ধী-জিন্নাহর রাজনীতি: ভারত-ভাগ' এবং মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার 'জয়যাত্রা'।
অনন্যা প্রকাশনী এনেছে আবদুল হাই শিকদারের 'আমরা মানুষ আমরা এসেছি'। কথাপ্রকাশ এনেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর 'উন্নতি উত্থান অভ্যুত্থান', মশিউল আলমের অনুবাদে মাওলা ব্রাদার্স এনেছে 'বিষয় দস্তইয়েফস্কি’, অন্যপ্রকাশ এনেছে এম আব্দুল আলীমের 'ভাষা আন্দোলনে নিম্নবর্গ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ'।
নবান্ন প্রকাশনী এনেছে যাত্রাপালাকার ও অভিনেতা মিলন কান্তি দের আত্মজীবনী ‘আমি যে এক যাত্রাওয়ালা’, সুমন কুমার দাশের শিশুতোষ বই 'হাঁস ও হিজল গাছ' এবং আমিনুর রহমান সুলতানের সম্পাদনায় 'সুফি গান ও জীবন কথায় সাগর দেওয়ান'।
ভাষাচিত্র এনেছে বনানী রায়ের মহাভারতের কাহিনি নিয়ে উপন্যাস ‘মহাভারতের মহারণ্যে’, কথাপ্রকাশ এনেছে ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর প্রবন্ধ ‘নানা চোখে জীবনানন্দ’।
বাতিঘর এনেছে বদরুদ্দীন উমরের ‘সাম্প্রদায়িকতা, সংস্কৃতির সংকট ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’। পাঠক সমাবেশ এনেছে আবুল আহসান চৌধুরীর সংকলনে ‘রোকেয়া প্রয়াণলেখ’। বুনন এনেছে সোহেল হাসান গালিবের ‘পায়ে বিঁধেছে হসন্ত’।
কথাপ্রকাশ এনেছে আহমাদ মোস্তফা কামালের ‘উপন্যাস সংগ্রহ’। ঐতিহ্য এনেছে জোবায়ের মিলনের সম্পাদনায় ‘সাদি মহম্মদের আত্মহত্যা রাষ্ট্রীয় পদক আমাদের হিপোক্রেসি’। কথাপ্রকাশ এনেছে সরদার ফজলুল করিমের ‘অতিক্রান্ত সময়’। আগামী প্রকাশনী এনেছে প্রথমা রায়মণ্ডলের গবেষণাগ্রন্থ ‘আহমদ শরীফের চিন্তার দর্শন’।
ইত্যাদি প্রকাশনী থেকে এসেছে মো. ওসমান আলীর আত্মজীবনী ‘জীবনের বলা না বলা কথা’। সাহিত্য পত্রিকা শুব্দগুচ্ছ এনেছে জাহিদ সোহাগের কবিতার বই ‘চেয়ার মুখোমুখি’। জলধি এনেছে সেলিম মোরশেদের ‘সাহিত্য সংগ্রহ’। মুস্তাফা মাজিদ সম্পাদিত 'গারো জাতিসত্তা'
আলোচনা, গান ও কবিতা
সোমবার লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শাহীন রেজা, এজাজ ইউসুফী ও শোভা চৌধুরী।
বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জন-আকাঙ্ক্ষার নাট্যকলা-যাত্রা: ঐতিহ্যের পরম্পরায় জাতীয়তাবাদী শিল্পরীতি এবং অমলেন্দু বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইদুর রহমান লিপন। আলোচনায় অংশ নেন শাহমান মৈশান। সভাপতিত্ব করেন মিলন কান্তি দে।
সাংস্কৃতিক পর্বে কবিতা পাঠ করেন ফাতিমা তামান্না, টোকন ঠাকুর ও রশিদ কামাল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাহবুব মুকুল ও নূরুল হাসনাত জিলান।
সংগীত পরিবেশন করেন আহমেদ শাকিল হাসমী, মো. ইকবাল হোসেন, শাহ আল চৌধুরী মিন্টু, বিমল দাস, দিপা আফ্রিদি, রোমানা আক্তার, মিসেস খালেদা বেগম, রাতুল শাহ, শেলী চন্দ, আঞ্জুমান আরা শিমুল, মো. খালেদ মাহমুদ মুন্না, আজমা সুরাইয়া শিল্পী, নাফিসা ইসলাম ফাইজা।
মঙ্গলবার যা থাকছে
বইমেলার ২৫তম দিন মঙ্গলবার মেলা শুরু হবে বিকাল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে হবে ‘জুলাই অভ্যুত্থান : গ্রাফিতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মুনেম ওয়াসিফ। আলোচনায় অংশ নেবেন তাসলিমা আখতার ও কামার আহমাদ সাইমন। সভাপতিত্ব করবেন ফারুক ওয়াসিফ।