শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাতভর অবরুদ্ধ থাকার পর তাদের দাবি ‘মেনে নিয়েছেন’ কেয়ার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান।
Published : 28 Aug 2022, 03:07 PM
ঢাকার কেয়ার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ চালাতে ‘অক্ষমতা’ প্রকাশ করে অন্য কলেজে মাইগ্রেশনের দাবি মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মাইগ্রেশনের দাবিতে এক স্মারকলিপিতে ‘কলেজ চেয়ারম্যানের সই নিয়ে’ শিক্ষার্থীরা গেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরে।
তারা বলছেন, রাতভর অবরুদ্ধ থাকার পর রোববার ভোরে তাদের দাবি ‘মেনে নিয়ে’ চেয়ারম্যান পারভিন ফাতেমা মাইগ্রেশনের দাবি সম্বলিত ওই স্মারকলিপিতে সই করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ আমাদের আরেকটি দল সচিবালয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন শিক্ষার্থীদের সব তথ্য নিয়ে তালিকা করছি। মাইগ্রেশনের জন্য সেটা জমা দেব।”
কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সিলভিয়া মীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ যে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে অক্ষম এবং মাইগ্রেশন দিতে চায়, সেটা চেয়ারম্যান স্মারকলিপিতে লিখে দিয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরে সেটা জমা দেব।”
এ বিষয়ে কথা বলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে চেয়ারম্যান পারভিন ফাতেমা ‘ব্যস্ত আছি’ বলে সংযোগ কেটে দেন।
কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক গোলাম মুর্শেদ সুমন বলেন, “শিক্ষার্থীরা ম্যাডামকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছিল। তবে তারা কী লিখিত নিয়েছে- সে বিষয়ে আমি বলতে পারছি না।”
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন না থাকা এবং অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগে মাইগ্রেশনের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন কেয়ার মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, বিএমডিসির কোনো অনুমোদন নেই এ কলেজের। নীতিমালা অনুসারে পর্যাপ্ত ফ্লোরপ্লেস ও অবকাঠামো না থাকার পরও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এই মেডিকেলের ২১৬ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এসব অভিযোগ নিয়ে গত ২১ অগাস্ট তারা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে স্মারকলিপি দেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক এ কে এম আমিরুল মোরশেদ সেসময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, কেয়ার মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ‘কলেজ চালাতে পারছে না’ জানিয়ে মাইগ্রেশন দিতে চাইলে অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
“কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি মাইগ্রেশন দিতে চায়, তাহলেই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আমরা তো তাদের অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টে রিট আবেদন করে। হাই কোর্ট ভর্তি বন্ধের আদেশ স্থগিত করে দেয়। এর মাধ্যমেই তারা ভর্তি করিয়েছে শিক্ষার্থীদের।
“এখন শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে দাবির কথা জানিয়েছে। তারা স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু সেখানে কর্তৃপক্ষ যে মেডিকেল কলেজটি চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, সে বিষয়টি থাকতে হবে। তাছাড়া আমরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারব না।”
আরও খবর
কেয়ার মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের কী হবে?
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে অবস্থান কেয়ার মেডিকেল শিক্ষার্থীদের