র্যাবের ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনটি হয়েছিল।
Published : 06 Feb 2025, 05:38 PM
এক দশক আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণে বাধা কাটল হাই কোর্টের রায়ে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাফ রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘ ১০ বছর এই মামলার রুলের শুনানি হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা বিষয়টি শুনানির জন্য হাই কোর্টে উপস্থাপন করি।
“এরপর হাই কোর্ট রুল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন। আজ রুলটি অ্যাবসলুট করে রায় দিল হাই কোর্ট। ফলে শাহনূর আলম হত্যার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণে বাধা কাটল।”
র্যাব-১৪-এর ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৪ সালের ১ জুন নালিশি আবেদন করেন শাহনুরের ভাই মেহেদি হাসান।
ওই অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল শাহনুরকে র্যাব সদস্যরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ৬ মে কুমিল্লা মেডিকেলে শাহনুর মারা যান।
র্যাবের নির্যাতনে শাহনুর মারা যান বলে অভিযোগে বলা হয়। অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু এই আদেশের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন অভিযুক্ত এক র্যাব সদস্য।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ বাতিল করে নবীনগর থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
আইনজীবী আশরাফ রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন (কোয়াশমেন্ট) করেন শাহনুরের ভাই মেহেদি হাসান।
২০১৪ সালের ১৬ জুলাই বিচারপতি শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ সংশোধন করে জেলা দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার রায় দিল হাই কোর্ট।