গত ২ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় বদলি হওয়া নূর নবী ৬ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
Published : 14 Oct 2024, 09:41 PM
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে দুই মাস ধরে পড়ে থাকা পোড়া লাশটি আনসার সদস্য নূর নবীর বলে শনাক্ত হয়েছে।
গত ২ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় বদলি হওয়া নূর নবী ৬ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। স্বজনেরা আগেই প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করলেও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পর সোমবার লাশটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৪৭ বছর বয়সী ব্যাটালিয়ন আনসার নূর নবীর স্ত্রী ফাতেমা তুজ জহুরা, ছেলে তাজনু সিফাতসহ অন্য স্বজনেরা এসে সোমবার তার লাশ মর্গ থেকে নিয়ে যান।
ফাতেমা জানান, নূর নবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ আনসার ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন তুঙ্গে থাকা অবস্থায় তাদের কয়েকজনকে ১৯ জুলাই ঢাকায় বদলি করা হয়; এরপর ২ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় বদলি হন নূর নবী।
ওই সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় টানা সংঘাত চলছিল। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পরদিন থেকে নূর নবীকে পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।
৮ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় এলাকা থেকে পোড়া কয়েকটি লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানোর পর স্বজনরা নূর নবীর খোঁজে মর্গে যান।
ফাতেমা বলেন, “৮ তারিখ আমি একবার দেখছি। কিন্তু চিনতে পারি নাই। পরে ৯ তারিখ আবার আসলাম। উনারে পুড়ায়া দিছিল। পাগুলান দেইখা মনে হইল। আমি একটা জিডি করছিলাম তার বিষয়ে। পরে সিআইডি আইসা ফিঙ্গার প্রিন্ট নিল, কিন্তু উনার ফিঙ্গার আসলো না (ছাপ স্পষ্ট না)।
“পরে তারা বলল, ডিএনএ পরীক্ষার পর লাশ দেবে। আমরা সেপ্টেম্বরে আইসা রক্ত দিয়া গেলাম ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। পরে এই মাসে আমাদের জানাইল ডিএনএ মিলছে, আমরা লাশ নিতে পারব।”
এরপর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফাতেমা ও তার ছেলেসহ স্বজনেরা নূর নবীর লাশ নিয়ে যান।
নূর নবীর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী সদরের পূর্ব অশ্যদিয়া গ্রামে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা ছিলেন তিনি।
গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য ও দুইজন আনসার সদস্য নিহত হওয়ার কথা এর আগে জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকুজ্জামান জানান, নূর নবীর বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তারা খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জানাবেন।