হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদীর করা আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
Published : 25 Jun 2023, 07:46 PM
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের যে নির্দেশ হাই কোর্ট দিয়েছিল, তাতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীর করা এক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী রোববার এই সিদ্ধান্ত দেন।
সেই সঙ্গে সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনটি আগামী ৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান আদেশের পর বলেন, বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থের ক্ষেত্রে তদন্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছে আদালত। তবে সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্তে বাধা নেই।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানের আদেশ চেয়ে মে মাসে এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৫ মে হাই কোর্ট সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী, সোহাগসহ ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়।
সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মতপ্রকাশে হাই কের্টের মানা
বাফুফে সভাপতিসহ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশ হাই কোর্টের
যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) চেয়ারম্যানকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। চার মাসের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয় তাদের।
ফেডারেশনের সকল বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ২২ জুন আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন সালাউদ্দিন ও সালাম মুর্শেদী। বিষয়টি রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
সালাউদ্দিনসহ বাফুফের ৩ জনের ‘দুর্নীতি’র তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন
প্রায় এক মাস পর প্রকাশ্যে এসে যা বললেন ‘নিষিদ্ধ’ সোহাগ
শুনানিতে কাজী সালাউদ্দিনের নাম আবেদন থেকে প্রত্যাহারের আরজি জানান তার আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন। আদালত তা মঞ্জুর করে। পরে সালাম মুর্শেদীর আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন।