নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের তদন্ত ‘শেষ পর্যায়ে’ বলে জানিয়েছে বহুল আলোচিত এই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি।
Published : 02 Jun 2014, 07:02 PM
এক মাস আগে হত্যাকাণ্ডের পর আদালতের নির্দেশে গঠিত এই কমিটি সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে তাদের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেয়।
এক কাউন্সিলর ও এক আইনজীবীসহ সাতজনকে তুলে নিয়ে হত্যায় র্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর হাই কোর্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে নিয়মিত অগ্রগতি জানাতে বলেছিল।
আদালতে দাখিল করার জন্য ওই প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে দিয়ে কমিটির সদস্য, আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্ত শেষ পর্যায়ে।
“আমরা এ পর্যন্ত ৩২৯ জনের সাক্ষ্য নিয়েছি। আশা করি, চার সপ্তাহের মধ্যে কাজ চূড়ান্ত করা যাবে।”
শুনানির নির্ধারিত দিন বুধবার আদালতের কাছে আরো চার সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন জানাবে তদন্ত কমিটি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লার নেতৃত্বাধীন এই তদন্ত কমিটি নারায়ণগঞ্জ শহর ও সিদ্ধিরগঞ্জে গণশুনানি নেয়, যেখানে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনও সাক্ষ্য দেন।
কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে গত ২৭ এপ্রিল তুলে নেয়ার তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এরপর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে হাই কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে র্যাব-১১ এর তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়, যাদের মধ্যে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর জামাতা তারেক সাঈদ মোহাম্মদও রয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য মিজানুর বলেন, “আমরা আগামীকাল আবার নারায়ণগঞ্জ যাব। সেখানে কমিটির সদস্যরা মিলে সিদ্ধান্ত নেব, আর কাদের কাদের সাক্ষ্য নেয়া প্রয়োজন। এরপর যদি কোনো সময় বেঁধে দেয়, তার মধ্যেই আমরা কাজ গুছিয়ে আনব।”
র্যাবের তিন কর্মকর্তার মতো এই দুজনকেও হত্যাকাণ্ডের পর নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে আনা হয়। র্যাবে থাকা সামরিক বাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে অবসরেও পাঠানো হয়েছে।
আদালতে জমা দিতে দেয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক গ্রহণ করেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র্যাব মহাপরিচালকের দপ্তর থেকেও দুটি প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি।”
মঙ্গলবার এফিডেভিট করে বুধবার প্রতিবেদনগুলো আদালতে জমা দেয়া হবে বলেও জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
সাত খুন তদন্তে গত ৫ মে আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে গঠিত এই তদন্ত কমিটি গত ১৫ মে তাদের প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। পরবর্তী অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে ৪ জুন পর্যন্ত সময় সেদিন বেঁধে দিয়েছিল হাই কোর্ট।