বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিপ্টো প্রধান হিসেবে জেলে যাচ্ছেন ঝাও। এর আগে এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিডকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 01 May 2024, 04:28 PM
অর্থ পাচারের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে চার মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বাইন্যান্সের সাবেক প্রধান চ্যাংপেং ঝাও।
বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাও ‘সিজি’ নামেও পরিচিত। তার এই সাজা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ পাচার বিরোধী আইনের অধীনে, যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া দেশগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনায় আর্থিক অনুদান বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল।
ঝাও’র পক্ষের আইনজীবিরা তাকে কারাদণ্ড না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন আদালতে। কারণ এরইমধ্যে পাঁচ কোটি ডলার জরিমানা গুনেছেন তিনি।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, এত বড় জরিমানার পরও ঝাও এখনও একজন বিলিওনেয়ার ও ক্রিপ্টো খাতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নির্বাহী কর্মকর্তা, যেখানে তার সম্পদের পরিমাণ তিন হাজার তিনশ কোটি ডলার।
সিয়াটলের এক আদালত এ সাজা শোনানোর আগে ক্ষমা চেয়ে ঝাও বলেন, “আমি এতে ব্যর্থ হয়েছি। আর এর জন্য আমি খুবই অনুতপ্ত ও দুঃখিত।”
তবে ডিস্ট্রিক্ট বিচারক রিচার্ড জোনস তাকে বলেন, “আপনার কাছে এ আইনের প্রতিটি একক প্রবিধান নিশ্চিত করার মতো যথেষ্ট আর্থিক ক্ষমতা ও জনশক্তি ছিল। তবে, আপনি এর সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।”
বিশ্বে ক্রিপ্টো জগতের দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে জেলে যাচ্ছেন ঝাও। এর আগে গত মাসে এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিডকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মার্কিন আদালত, যেখানে তার বিরুদ্ধে নিজের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি থেকে শত শত কোটি ডলার চুরির অভিযোগ ছিল।
এর বিপরীতে, নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ফ্রিড।
‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ মডেল
নভেম্বরে বাইন্যান্সে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ঝাও, যার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যাংক সিক্রেসি অ্যাক্ট’-এর কিছু শর্ত ফাকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি ও তার কোম্পানি।
এর জন্য ৪৩০ কোটি ডলার জরিমানাও দিতে রাজি হয়েছিল কোম্পানিটি, যেখানে মামলার বাদিপক্ষ দাবি করে, তারা ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ নামের একটি মডেল ব্যবহার করায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন সংশ্লিষ্ট এক লাখ সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়নি।
বাদিপক্ষ আরও বলেছে, বাইন্যান্স শিশু নিপীড়ন সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রিতে সমর্থন দেওয়ার পাশপাশি বিভিন্ন র্যানসমওয়্যার আক্রমণ থেকেও অর্থ আয় করেছিল।
মার্কিন বিচার বিভাগ এই মামলাটি দায়ের করে বিটকয়েননির্ভর অপরাধী কার্যক্রম শনাক্ত করার এক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।
এদিকে, আরেক মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র তদন্ত ও মামলার মুখে পড়েছে বাইন্যান্স।