কিশোরগঞ্জের পর এবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় সুড়ঙ্গ তৈরি করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৩০ লাখের বেশি টাকা লুট হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের ওই শাখার ক্যাশিয়ারসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
Published : 08 Mar 2014, 07:06 PM
আদমদীঘি থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোনালী ব্যাংকের অফিসের পাশের একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে টাকা লুটের এই ঘটনা ঘটেছে।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. শামছ উদ্দিন বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের টাকা লেনদেনের জন্য সোনালী ব্যাংকের সব শাখা শনিবার খোলা ছিল। তবে ব্যাংকে লেনদেন হয়নি।
“বিকাল ৪টার দিকে ব্যাংক থেকে যাওয়ার পথে ভল্টের কাছে চেক করতে গিয়ে দেখতে পাই ভল্ট খোলা। পরে পুলিশসহ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাই।”
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংক বন্ধ করার সময় ভল্টে ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৭ টাকা রেখে যাওয়া হয়।
শনিবার বিকালে ভল্টের আশপাশ ও সুড়ঙ্গের ভিতরে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় এক লাখ ৭২ হাজার ১৮৪ টাকা পাওয়া যায়।
এ হিসাবে ব্যাংক থেকে মোট ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৩ টাকা খোয়া গেছে বলে জানান সোনালী ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবদুস সামাদ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আজহার উদ্দিন, নিরাপত্তা রক্ষী মিলন (২৪) ও পূর্ণ চন্দ্র (২২) এবং ব্যাংক কার্যালয় সংলগ্ন বিপ্লব ফার্নিচার দোকানের মালিক আশরাফুল ইসলাম ও তার কর্মচারী শাহীনুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, “কে বা কারা কিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে। এর বাইরে যদি কারো হাত থাকে তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় সোনালী ব্যাংকের ওই শাখা কার্যালয়ের মাত্র কয়েক হাত দূরেই একতলা ভবনে ফার্নিচারের দোকানটি। ব্যাংক কার্যালয়ের ভবনের মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির হোসেন।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরের রথখোলা এলাকায় সোনালী ব্যাংকের অফিসে সুড়ঙ্গ খুড়ে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা চুরি হয়। দুদিনের মাথায় এই চুরির মূল হোতা সোহেল ওরফে হাবিবসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে চুরির ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ টাকা উদ্ধার করা হয়।