ব্যাংকে চুরির ‘হোতা’ গ্রেপ্তার, টাকা উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে সুড়ঙ্গ কেটে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে চুরি হওয়া টাকার অধিকাংশই উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ঘটনার ‘হোতা’সহ দুজনকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2014, 10:46 AM
Updated : 28 Jan 2014, 06:23 PM

চুরির ঘটনা ধরা পড়ার দুই দিনের দিনের মধ্যে মঙ্গলবার বিকালে টাকার পাঁচটি বস্তাসহ দুজনকে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন শ্যামপুরের বালুর মাঠ সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

এর মধ্যে সোহেল ওরফে হাবিবই চুরির হোতা বলে র‌্যাব জানিয়েছে। ইদ্রিস এক সময় তার সহকর্মী ছিলেন।  

পরে  র‌্যাব সদর দপ্তরে বস্তাগুলো নিয়ে হিসাব করার পর বাহিনীর মুখপাত্র এ টি এম হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ টাকা পাওয়া গেছে।

রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরি হয় বলে ব্যাংকের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেই হিসাবে ২১ লাখ টাকা পাওয়া যায়নি। 

সোহেল দাবি করেছেন, ওই টাকা আটরশির ওরসের জন্য ট্রাকভর্তি চাল কিনতে এবং ট্রাকচালকের সহকারীকে দিতে হয়েছে।

গত রোববার কিশোরগঞ্জ শহরের রথখোলা এলাকায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। আগের দুদিনের ছুটির মধ্যে সুড়ঙ্গ কেটে ভল্টে ঢুকে এই অর্থ হাতিয়ে নেয় চোরের দল।  

ব্যাংকের ওই শাখার জ্যেষ্ঠ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহসিনুল হক জানান, বিকাল ৩টার দিকে টাকার প্রয়োজনে ব্যাংকের ভল্টে ঢুকে মেঝেতে সুড়ঙ্গ দেখতে পান তিনি।

পুলিশ এসে ঘটনা তদন্ত করে ১৫ ফুট দূরে পাশের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত কক্ষের ভেতর সুড়ঙ্গের অন্য প্রান্তের সন্ধান পায়।

র‌্যাব মুখপাত্র হাবিব বলেন, সোহেল প্রায় দুই বছর ধরে সোনালী ব্যাংকের পাশের বাড়িটিতে ভাড়া থাকত।

ওই বাড়ির অন্য একটি কক্ষে এক নারী দুই মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকেন, তার স্বামী থাকেন সৌদি আরবে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

চুরির ঘটনা ধরা পড়ার পর কর্তব্যরত ৮ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। ওই শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক শেখ আমানুল্লাহ থানায় মামলা করলেও তাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান, টাকা চুরির ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এই তদন্তকালেই র‌্যাব কদমতলী এলাকায় সোহেলের অবস্থান সনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে একই এলাকার একটি বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে টাকাভর্তি ৫টি বস্তা এবং ইদ্রিস আলীকে পাওয়া যায়।

পরে ওই অবস্থায় বস্তাগুলো র‌্যাব সদর দপ্তরে নেয়া হয় এবং সাংবাদিকদের সামনে তা খুলে গণনা করা হয়। এসময় সোনালী ব্যাংকের কর্মচারীরা গণনাতে সহায়তা করেন।