চোখ কুমিল্লায়, সাক্কুর সঙ্গে নতুন ইসিও পরীক্ষায়

‘ভোটের মাঠে সাক্কু পরীক্ষিত লোক, নির্বাচন কীভাবে করতে হয় এবং কীভাবে জিততে হয়, সে ভালো জানে,” বলছিলেন কুমিল্লা শহরের কালিবাজারের বাসিন্দা মো. ফয়সাল। কিন্তু দুই বার বিজয়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কুও এবার পরিস্থিতি দেখছেন ‘ভিন্ন’।

কামাল তালুকদারমঈনুল হক চৌধুরী ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2022, 07:34 PM
Updated : 14 June 2022, 07:51 PM

একে তো দলেরই এক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বী, তার ওপর ক্ষমতাসীন দলের নেতার ‘আশীর্বাদ’ও এবার তার উপর থাকছে না। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন মেয়র পদে থাকায় নানা সমালোচনা জমেছে, ফলে সাক্কুর হ্যাট্রিক জয়ের স্বপ্ন পড়েছে বড় পরীক্ষায়।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাক্কুর মতো বড় পরীক্ষায় যে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশনও, তা বললেন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।

তার কথায়, “এ নির্বাচন নবগঠিত ইসির জন্যে প্রথম লিটমাস টেস্ট। ভবিষ্যতে নতুন কমিশনের ইমেজ গঠনের বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করবে এ নির্বাচনের উপর।”

ফলে দেশের সবারই চোখ থাকবে কুমিল্লায়। আর সেই কোটি চোখের দৃষ্টি যেন শ্যেন না হয়ে ওঠে, সেজন্য কুমিল্লায় ইভিএমের মাধ্যমেও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে এই প্রথম ক্যামেরার চোখ বসিয়েছে ইসি। সাড়ে আটশর মতো সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে সাড়ে ছয়শ ভোটকক্ষে।

নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসের মধ্যে বুধবারই প্রথম ভোট হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সঙ্গে পাঁচ পৌরসভা, ১৩০টি ইউপি ও এক উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। তবে প্রচারে সামনে রয়েছে বড় অর্থাৎ কুমিল্লার নির্বাচনই।

ক্ষমতাসীন দলের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকাছাড়া করতে না পারলেও নির্বাচন কমিশন বলছে, অবাধ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে আগামীর জন্য একটি উদাহরণ দেওয়ার মতো ভোট করতে চান তারা।

সব দলের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া ইসির জন্য এই নির্বাচনকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন ভোট পর্যবেক্ষকরাও।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে এ পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপে ইসিকে পাস নম্বরই দিচ্ছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবদুল আলীম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ পর্যন্ত বেশ সন্তোষজনক। শেষদিকে একজন সংসদ সদস্যকে নিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে বেশ। সব কিছু ছাপিয়ে ভোটের দিনের পরিবেশ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তার উপর আগামী দিনের নির্বাচনগুলো কেমন হবে তা নির্ভর করবে।”

সেই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার কতখানি হচ্ছে, তার সফলতায় প্রভাবও কুমিল্লার ভোট ফেলবে বলে মনে করেন কলিমুল্লাহ।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগের দিন মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তল্লাশি দেখা যায়। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

বিএনপিসহ নানা দলের প্রশ্ন থাকলেও ২ লাখ ৩০ হাজার ভোটারের কুমিল্লায় ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি ভোট কক্ষেই সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েও মেয়র হওয়ার লড়াইয়ে নামা মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার দুজনই ইভিএম নিয়ে সন্দিহান হলেও সিসি ক্যামেরা বসানোয় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে ভোটকক্ষের গোপন কক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির উপস্থিতির মধ্য দিয়ে ভোটে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠলেও তা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এড়ানোর পথ তৈরি হবে বলে আশাবাদী ইসি।

ইসি থেকে জানানো হয়েছে, এসব ক্যামেরায় ভোটের আগের দিন থেকে পরদিন মোট ৪৮ ঘণ্টা ধরে ধারণ করা ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষ বাদে ভোটকেন্দ্রের ভিডিও থাকবে ইসির কাছে। কেউ অনিয়ম করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাক্কু বলেছেন, “আমি চাইব, নির্বাচন কমিশনের লোকজন শুধু এগুলো লাগিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করবেন না। প্রতিটি সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন তারা।”

“ভোটের সময় ক্যামেরা চালিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঘুমালে চলবে না। প্রতিটি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে,” বলেন কায়সারও।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক কলিমুল্লাহ বলেন, “ইভিএম জাতীয় পর্যায়ে কতটা কার্যকর হবে বিষযটি অনুমান করতে পারব কুমিল্লার ভোটের সফলতার উপর।

“নির্বাচনের পরেও অভিযোগ বাতাসে ভেসে বেড়ায়, গোপন কক্ষে পাশে দণ্ডায়মান থাকে কেউ, যন্ত্র ভালো হওয়ার পরেও যদি এরকম জিনের বাদশা দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে পুরো ব্যাপারটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

এদিকে ইভিএমে ভোটগ্রহণে স্লথ গতির যে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাক্কু, তা নিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “ইভিএম নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। ভোটে শ্লথগতি বা ভোট দিতে কোনো ধরনের ত্রুটি যাতে না হয়, সে পদক্ষেপ নেওয়া আছে।”

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান বলছেন, ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

“সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পদক্ষেপে সন্তুষ্ট। আশা করি, ভবিষ্যতে উদাহরণ দেওয়ার মতো একটা নির্বাচন হবে।”

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটের আগের দিন মঙ্গলাবার শহরের কান্দিরপাড় এলাকায় র‌্যাবের টহল। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

ভোটের দিন পর্যন্ত দেখার অপেক্ষায় পর্যবেক্ষকরা

নির্বাচন পর্যবেক্ষক আবদুল আলীম নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সার্বিকভাবে কুমিল্লায় তুলনামূলকভাবে পরিবেশটা ভালো ছিল। এখানে যেহেতু কিছু বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আচরণবিধিমালার খুব বেশি ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে হয়নি।

সংসদ সদস্য বাহারের ইসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে কুমিল্লায় থেকে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা যেহেতু এ কমিশনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন; কাজে এখানে… (আরও কার্যকর পদক্ষেপ দরকার ছিল)। শুরু থেকেই কমিশনে বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু আরও একটু শক্ত হওয়া দরকার ছিল।

“এখানে আসলে দুটো অপশন ছিল। যেহেতু তিনি এলাকার ভোটার; উনাকে এলাকা ছাড়ার প্রথমে নির্দেশ না দিয়ে বলতে পারত-আপনি বাসার ভেতরে থাকবেন, কোনো প্রোগ্রামে, প্রচারে যাবেন না। এটা প্রথমে করা যেত। এটা না বলে যেহেতু এলাকা ছাড়ার জন্যে চিঠি দিয়ে ফেলেছে কমিশন, সেটা ডিফেন্ড করা দরকার ছিল।”

এখন ভোটের দিন দেখার অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়ে আলীম বলেন, “এখন আগামী দিন সবাই যদি ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করে এবং কমিশন ক্লোজ মনিটরিং করে সিসি ক্যামেরায় দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়,তাহলে ভালো নির্বাচন হবে।”

‘ভালো’ নির্বাচন হলে ভোটাররাও কেন্দ্রে আসায় আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

“ভোটার বিমুখিতা, ভোটকেন্দ্রে তেমন যায় না, ভোট দিতে অনীহা। এ নির্বাচনটি যদি ভালো হয়, তবে আগামীতে ভোটাররা ভোট দিতে যেতে আগ্রহ দেখাবে, ভোটকেন্দ্রে যাবে।”

জানিপপ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ নির্বাচনটিকে ডেমোক্রেসির তরবারির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পার। এটা দুদিকে কাটে। কুমিল্লা নির্বাচন বর্তমান ইসির জন্যে প্রথম লিটমাস টেস্ট। ভবিষ্যতে নতুন কমিশনের ইমেজ বিল্ডিংয়ের বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করবে এ নির্বাচনের উপর।”

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে যদি ইসি হোঁচট খায়, তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনেও পড়বে বলে সতর্ক করেন তিনি।

কলিমুল্লাহ মনে করেন, সংসদ সদস্যের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় স্পিকার ও দলীয় সভানেত্রীর কাছে ইসি বলতে পারত।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের শহীদ আবু জাহিদ মিলনায়তন থেকে মঙ্গলবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএম ও নির্বাচনী সামগ্রী। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

কুমিল্লার ভোট : এক নজরে

>> ভোটার: ২,২৯,৯২০ জন (পুরুষ ১,১২,৮২৬; নারী ১,১৭,০৯২ ও হিজড়া ২)

>> ওয়ার্ড: সাধারণ ২৭, সংরক্ষিত ৯

>> ভোট কেন্দ্র: ১০৫

>> ভোট কক্ষ: ৬৪০।

>> আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- ৩ হাজার ৬০৮

>> ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র‍্যাবের টিম, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নয়জন বিচারিক হাকিম।

>> প্রার্থী: মেয়র ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ১০৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৩৬ জন।

মেয়র প্রার্থীরা

>> রাশেদুল ইসলাম- ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা)

>> কামরুল আহসান বাবুল- স্বতন্ত্র (হরিণ)

>> মো. মনিরুল হক সাক্কু- স্বতন্ত্র (টেবিল ঘড়ি)

>> নিজাম উদ্দিন কায়সার- স্বতন্ত্র (ঘোড়া)

>> আরফানুল হক রিফাত- আওয়ামী লীগ (নৌকা)

কুমিল্লা সিটি এখন ভোটের অপেক্ষায়। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহরের কান্দিরপাড় এলাকা। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

এগিয়ে কে?

কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান মনিরুল হক সাক্কু এর আগে দুই বার সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দুবারই জেতেন। তবে দুবারই তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন একজন প্রার্থী। এবার কায়সার প্রার্থী হওয়ায় লড়াই ত্রিমুখী হবে বলে ধারণা কুমিল্লার ভোটারদের।

ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অর্ধশত মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।

কেউ কেউ বলছেন, এবার ভোটের মাঠে এগিয়ে নৌকা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত বার যারা আওয়ামী লীগ করেও সাক্কুর নির্বাচন করেছেন এবং সাক্কুকে জয়লাভে সহযোগিতা করেছেন, তারা এবার নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের গৃহবিবাদ বরাবরই সাক্কুকে সুবিধা দিত বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। এর আগে প্রথমবার সাক্কুর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খান। আফজলের মৃত্যুর পর প্রার্থী ছিলেন তারই মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা।

তবে বাবা-মেয়ে দুজনকেই হারতে হয়েছে সাক্কুর কাছে; যদিও সীমা ভোটের ব্যবধান ৩৩ হাজার থেকে কমিয়ে ১১ হাজারে এনেছিলেন। সাক্কুর জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা আওয়ামী লীগেরই সংসদ সদস্য বাহারের ছিল বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।

বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে সাক্কু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন বাহার ভাই আমার পক্ষে না থাকলেও মানুষ বলে তিনি আমার পক্ষে ছিলেন, এটা তো আমি অস্বীকার করতে পারব না।”

বাম থেকে মনিরুল হক সাক্কু, আরফানুল হক রিফাত ও নিজাম উদ্দিন কায়সার

তবে এবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এমপি বাহারের ‘লোক’ হওয়ায় আগের পরিস্থিতি আর নেই বলে মনে করেন ভোটাররা।

সাক্কুও বলছেন, “এবার তো পরিস্থিতি অবশ্যই ভিন্ন। এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বাহার ভাইয়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ লোক। তিনি প্রার্থীর জন্য কাজ করছেন। তাই পরিস্থিতির তো কিছুটা পরিবর্তন হয়েছেই।”

আবার বিএনপির অনেকে কায়সারের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানালেন সুজানগরের বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবুল।

তিনি বলেন, “অনেকে আবার তার (সাক্কু) প্রতি নাখোশ হয়ে ঘোড়ার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে।”

কালিবাজারের বাসিন্দা ফয়সালের মতো নানুয়া দিঘিরপাড়ের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইকবাল হোসেন আবার সাক্কুর হ্যাট্রিক জয়ই দেখছেন।

কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন আবার বললেন, নৌকাই বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

তবে চকবাজারের এলাকার আব্দুল হামিদ নামে রিকশাচালক বলেন, “আগাম কিছুই বলা যাচ্ছে না। উপরে উপরে মানুষ একদিকে থাকে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে....”