চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা-লুটপাটে গ্রেপ্তার ৪

দুর্গা পূজার সময় কুমিল্লার ঘটনার ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীর চৌমুহনীর মন্দিরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের সংবাদ সম্মলনে এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মনির হোসেন ওরফে রুবেল (২৮), জাকির হোসেন ওরফে রাব্বি (২০), মো. রিপন (২১) ও নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৬)।

রোববার রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা কেউ বাস বা অটোরিকশক চালক, কেউ বাসের হেলপারের কাজ করেন। ‘ছিনতাইয়ের মত অপরাধেও’ তারা জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

কমান্ডার মঈন বলেন, গত ১৫ অক্টোবর চৌমুহনীর রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মন্দির থেকে লুট হওয়া পূজার সামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রও পাওয়া গেছে তাদের কাছে।

“জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রাব্বী ও রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে মন্দিরে হামলায় অংশ নেয়। হামলার পরে রুবেল, রাব্বী ও রিপন দুটি বস্তায় ভরে মন্দির থেকে পিতলের বিভিন্ন পূজার সামগ্রীসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। সেগুলো গলিয়ে রূপান্তরিত করে তারা বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিল।”

দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে সহিংসতা শুরুর পর তা ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ফেনীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে।

এর মধ্যে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে গত ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে কয়েকটি পূজামণ্ডপ, মন্দির এবং হিন্দুদের বাড়িঘরে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

কমান্ডার মঈন বলেন, মন্দিরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় একটি ভিডিওতে রুবেলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখান থেকেই তাকে চিহ্নিত করা হয়।

আরও পড়ুন

নোয়াখালীতে পূজামণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর, ১৪৪ ধারা  

পূজামণ্ডপে হামলা: নোয়াখালী যুবদল সভাপতি গ্রেপ্তার  

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: নোয়াখালীর কমলের জবানবন্দিতে ‘বুলুসহ ১৫ নেতার নাম’: পুলিশ